শুক্রবার, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 18, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

অর্থনীতি

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় আরও তিন কর পরিদর্শক বরখাস্ত

Picture of the author

24 Bangladesh

১৭ জুলাই, ২০২৫ | 10:59 AM

Picture of the author

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় আজ বৃহস্পতিবার আরও তিনজন কর পরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান পৃথক তিনটি আদেশ সই করেন। গত কয়েক দিনে সব মিলিয়ে ২৭ জন কর কর্মকর্তা–কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হলো।


আজ যারা বরখাস্ত হয়েছেন, তারা হলেন আয়কর, গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের আবদুল্লাহ আল মামুন; কর অঞ্চল-৬–এর কর পরিদর্শক রুহুল আমিন এবং কর অঞ্চল-২–এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ।


আদেশ অনুসারে পাঁচজন উপ–কর কমিশনারের বদলির আদেশ অবজ্ঞাপূর্বক প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করায় এবং এর মাধ্যমে বদলি আদেশ অমান্যকারীদের সমর্থন করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ৩৯(১) ধারা অনুসারে তাদের এনবিআরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপূর্বক সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তারা সাময়িক বরখাস্তকালীন বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

গত মাসে এনবিআরে আন্দোলনের জেরে কয়েক দিন ধরে এনবিআরের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হচ্ছে।


এদিকে গতকাল বুধবারও উপকমিশনার থেকে নিরাপত্তাপ্রহরী পদের ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। গত মঙ্গলবার ১৪ জন শুল্ক, কর ও ভ্যাট কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে সরকার। তাঁদেরও বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গত মাসে এনবিআরে যে আন্দোলন হয়েছে, তারা সবাই ওই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। কেউ কেউ নেতৃত্বও দিয়েছেন। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই আন্দোলন হয়। বরখাস্ত হওয়া মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এনবিআর ঐক্য পরিষদের সভাপতি এবং ঢাকার কর অঞ্চল-৮–এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা সহসভাপতি পদে আছেন।

গত মাসে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২৮ ও ২৯ জুন সারা দেশে কাজ বন্ধ করে দেন তারা। এরপর ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তারা। এরপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। আন্দোলন প্রত্যাহারের পরের এই পর্যন্ত তিনজন সদস্য ও একজন কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কাজ বন্ধ রাখার দায়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের তৎকালীন কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া এনবিআরের ২ জন সদস্যসহ ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। তাদের অধিকাংশই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

গত ১২ মে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা—এই দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এর পর থেকে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে যৌক্তিক সংস্কারে দাবিতে প্রায় দেড় মাস আন্দোলন করেন।





    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ