Logo
সোমবার, ২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 11, 2025
সোমবার, ২৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 11, 2025
আজকের শিরোনাম:

খেলা

চরম ঝুঁকিতে বিসিবির এফডিআর!

Picture of the author

24 Bangladesh

৯ আগস্ট, ২০২৫ | 1:30 PM

Picture of the author

ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে ১৩টি নিরাপদ ব্যাংকে ২৫০ কোটি টাকা নতুন করে এফডিআর করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেই সময় এই লেনদেন ঘিরে বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল ক্রিকেট পাড়ায়। এমনকি ফারুকের বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ পর্যন্ত তোলা হয়েছিল। যদিও সেই অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। 


তবে ফারুক যে ব্যাংকটিতে ৫২ কোটি টাকা এফডিআর করে গেছেন সেটি সবুজ তালিকায় থাকলেও বিসিবির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। গত এক মাসে সেই প্রমাণ ভালোভাবেই পেয়েছে বিসিবি। 


ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নির্দেশে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ব্যাংকের কাছ থেকে দুই কোটি টাকা করে ফেরত চাওয়া হয়েছিল। একটি ব্যাংক ওই পরিমাণ টাকা দিতে পারলেও অন্যটি ব্যর্থ হয়েছে। অথচ ওই ব্যাংকটিতে ৫২ কোটি টাকা এফডিআর করেছেন সাবেক সভাপতি ফারুক। বেশি মুনাফা পাওয়ার লোভে এরকম একটি ব্যাংকে টাকা রেখে মূলধন হারানোর শঙ্কায় বিসিবি কর্তারা।


একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যে ব্যাংক এক মাসেও দুই কোটি টাকা দিতে পারে না, এফডিআর মেয়াদপূর্ণ হলে তারা অর্ধশত কোটি টাকা কীভাবে ফেরত দেবে?’ বিসিবির অনুরোধ ও গ্রাহকদের কথা ভেবে রিপোর্টে ব্যাংকটির নাম প্রকাশ করা হয়নি।


বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ ব্যাংকের একটি তালিকা হালনাগাদ করে। হলুদ ও লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফারুক বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে এফডিআর নিরাপদ ব্যাংকে স্থানান্তর করা হবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নও করেন দ্রুত। যদিও ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন ফারুক। যে কারণে ২৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে হয় ফারুককে। 


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়– ‘সরকারের লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংক জনতা, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক থেকে তুলনামূলক নিরাপদ সবুজ ও হলুদ তালিকাভুক্ত ১৩টি ব্যাংক– মধুমতি (হলুদ), ইস্টার্ন (সবুজ), ব্র্যাক (হলুদ), মিউচুয়াল ট্রাস্ট (হলুদ), প্রাইম (সবুজ), সিটি (সবুজ), মেঘনা (সবুজ), পূবালী (হলুদ), অগ্রণী (লাল), বেঙ্গল কমার্শিয়াল (হলুদ) ও সিটিজেনস ব্যাংকে (হলুদ) ২৩৮ কোটি টাকা নতুন করে এফডিআর করা হয়েছে। এই ব্যাংকগুলো থেকে ২ থেকে ৫ শতাংশ বাড়তি মুনাফা পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।


এফডিআর করার ফলে অংশীদার ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা স্পন্সর পেয়েছিল বিসিবি। মধুমতি ব্যাংক ও মেঘনা ব্যাংক ঢাকা লিগ ও জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) স্পন্সর ছিল। মজার ব্যাপার হলো এ দুটি ব্যাংকে ১১৮ কোটি টাকা এফডিআর করায় দুশ্চিন্তায় বিসিবি কর্মকর্তারা। আগামী বছর এফডিআরের মেয়াদ পূর্ণ হলে বিসিবি টাকা সরাতে চাইলে ব্যাংক টাকা দিতে পারবে কিনা বলা কঠিন।


একজন বিসিবি পরিচালক বলেন, ‘একটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক সিরিজের টিকিট বিক্রি করে থাকে। তারা হয়তো সময় মতো লেনদেন করতে পারবে। দুশ্চিন্তা তো অন্য একটি ব্যাংককে নিয়ে। তারা তো পরীক্ষায় ফেল। বিসিবির টাকা কেউ না নিলেও ঝুঁকিতে ফেলার অধিকার তো কারও নেই।’


সূত্র: সমকাল

    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ