বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 17, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

তথ্যপ্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ৪০ লাখ গুণ দ্রুতগতির ইন্টারনেট, রেকর্ড গড়ল জাপান

Picture of the author

24 Bangladesh

১৭ জুলাই, ২০২৫ | 8:29 AM

Picture of the author

বিশ্বে ইন্টারনেট গতির নতুন রেকর্ড গড়েছে জাপান। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (এনআইসিটি)-এর গবেষকেরা দাবি করেছেন, তাঁরা প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার গিগাবাইট (১২৫ পেটাবাইট) ডেটা স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন, যা প্রায় ১ হাজার ১২০ মাইল (১ হাজার ৮০২ কিলোমিটার) দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই গতি যুক্তরাষ্ট্রের গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতির তুলনায় প্রায় ৪০ লাখ গুণ বেশি।

গবেষকদের মতে, এই গতিতে ‘ইন্টারনেট আর্কাইভ’-এর সম্পূর্ণ ডেটা মাত্র চার মিনিটের কম সময়ে ডাউনলোড করা সম্ভব। এর আগে ২০২৪ সালে একটি গবেষক দল প্রতি সেকেন্ডে ৫০ হাজার ২৫০ গিগাবাইট ডেটা স্থানান্তরের রেকর্ড গড়েছিল। নতুন রেকর্ডটি আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

এনআইসিটি জানিয়েছে, গবেষকেরা এই সাফল্য পেয়েছেন নতুন ধরনের অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহারের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত দূরত্বের সমান পথ পাড়ি দিয়ে পরীক্ষাটি সফল হয়েছে। এ গবেষণা গত ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ৪৮তম অপটিক্যাল ফাইবার কমিউনিকেশন কনফারেন্সে উপস্থাপন করা হয়।

গবেষকেরা যে নতুন অপটিক্যাল ফাইবার তৈরি করেছেন, সেটি ১৯টি সাধারণ ফাইবারের সমান ডেটা পরিবহনের ক্ষমতা রাখে। ফাইবারটির কেন্দ্রস্থলে থাকা ১৯টি পৃথক চ্যানেল আলোকে একইভাবে পরিচালনা করে, যার ফলে আলোতে কম বিভ্রান্তি হয় এবং তথ্যের ক্ষতি কম হয়। এতে দীর্ঘ দূরত্বে তথ্য স্থানান্তর অনেক বেশি কার্যকর হয়েছে।

মাত্র দশমিক ১২৭ মিলিমিটার পুরু এই নতুন ফাইবার প্রচলিত একক ফাইবার ক্যাবলের সমান পুরু। ফলে এটি বিদ্যমান অবকাঠামোতেই ব্যবহারযোগ্য, নতুনভাবে অবকাঠামো তৈরির প্রয়োজন পড়বে না।

২০২৩ সালের মার্চে একই গবেষক দল উচ্চগতির তথ্য স্থানান্তরের পরীক্ষা করলেও সে সময় মোট দূরত্বের এক-তৃতীয়াংশে ডেটা পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। এবার পূর্ণ দূরত্বে ডেটা পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছে এনআইসিটি। পরীক্ষায় তথ্যগুলো ২১ বার ঘুরে শেষে রিসিভারে পৌঁছেছে, অর্থাৎ মোট ১ হাজার ১২০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করেছে।

গবেষকদের মতে, এই রেকর্ড ভবিষ্যতের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন, দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রমে সক্ষম এবং বৃহৎ পরিসরের অপটিক্যাল যোগাযোগব্যবস্থার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বৈশ্বিকভাবে যেভাবে ডেটা ব্যবহারের হার বাড়ছে, তাতে এমন উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো এখন সময়ের দাবি। গবেষকেরা পরবর্তী ধাপে এই প্রযুক্তির বাস্তব টেলিকম খাতে ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে কাজ করতে চান।

তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স


    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ