জাতীয়
24 Bangladesh
৮ জুলাই, ২০২৫ | 9:03 AM
রাজধানীতে টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে নানামুখী ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নগরবাসী। বৃষ্টিপাত তীব্র না হলেও দীর্ঘসময় ধরে চলায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট, গণপরিবহন সংকট ও জীবনযাত্রায় বিঘ্ন।
মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পুরান ঢাকা, খিলগাঁও, নিউ মার্কেট, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় গতকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে স্কুলে সন্তানকে পৌঁছে দিতে গিয়ে অভিভাবক মো. সুমনের মা বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে মেইন সড়ক পর্যন্ত চলে এসেছি, কিন্তু কোনো রিকশা পাইনি। একটা-দুটা যা পাচ্ছি, তারা দ্বিগুণ ভাড়া চাইছে। একটু বৃষ্টি হলেই বাচ্চারা যেমন বৃষ্টিতে ভেজে, তেমনি রাস্তায় নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
বৃষ্টির কারণে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক—সব যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। চালকরা একদিকে যেমন দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন, অন্যদিকে অনেকেই বৃষ্টিতে চলাচল করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে গণপরিবহনে বাড়ছে চাপ।
টানা বৃষ্টিতে ট্রাফিক ব্যবস্থায়ও নেমেছে বিশৃঙ্খলা। বৃষ্টি শুরু হলে অনেকেই নিয়ম না মেনে যেদিকে পারছেন, সেদিকেই গাড়ি চালাচ্ছেন। এতে ট্রাফিক পুলিশেরও ভোগান্তি বাড়ছে। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় হালকা বৃষ্টির মধ্যেও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। রিকশা, বাস, সিএনজি—সব যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। এতে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
রাজধানীর অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, আবর্জনায় আটকে থাকা খাল ও জলজটপ্রবণ রাস্তা বৃষ্টির সামান্য ধারাকেও দুর্ভোগে পরিণত করছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের ওপর এর প্রভাব আরও ভয়াবহ।
ফুটপাতে দোকান দেওয়া কিংবা ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা করা অনেকেই গত দুদিন দোকান খুলতেই পারেননি। কেউ খুললেও নেই তেমন বেচাকেনা। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মো. হারুন মিয়া বলেন, গত দুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে দোকান খুলতে পারিনি। আজ খুলেছি, কিন্তু কাস্টমার নেই। লোকজন রাস্তায়ই কম।