বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 17, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

সারাদেশ

বাড়ছে পানি, ভাঙনের শঙ্কায় যমুনাপাড়ের বাসিন্দারা

Picture of the author

24 Bangladesh

২৭ জুন, ২০২৫ | 11:21 AM

Picture of the author

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে যমুনা নদীতে দ্রুতগতিতে পানি বাড়ছে। আর পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী অঞ্চল ও চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে যমুনা নদীতে দ্রুতগতিতে পানি বাড়ছে। আর পানি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরাজগঞ্জের যমুনা তীরবর্তী অঞ্চল ও চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।


ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছেন নদীতীরের শত শত বাসিন্দ
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৩২ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪১ সেন্টিমিটার বেড়ে এটি বিপৎসীমার এক দশমিক ৫৮ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার পানি বেড়েছিল ৪৪ সেন্টিমিটার।

জেলার কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে এটি বিপৎসীমার এক দশমিক ৮০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার পানি বেড়েছিল অন্তত ৪৮ সেন্টিমিটার।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পার পাঁচিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যমুনার উত্তাল ঢেউয়ে কৃষক মোহাম্মদ আলীর ক্ষেতের আখ ডুবে যাচ্ছে। অপরিপক্ব আখের ডগাই কেটে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

তিনি বলেন, তার ক্ষেতের আখগুলো আর দুই তিন সপ্তাহ থাকলেই পরিপক্ক হয়ে যেত। কিন্তু এত কষ্টের আখক্ষেত কয়েকদিনেই গিলে নিচ্ছে যমুনা। তার ও তার ভাইদের ৪০ বিঘার মতো জমি ছিল। দফায় দফায় ভাঙনে ২৫ বিঘা বিলীন হয়েছে।   

সদর উপজেলার ছোনগাছা ও খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামেও চলছে ভাঙন। যমুনায় পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।


সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হারান আলী বলেন, বারবেলা কবরস্থানের সামনে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নের বোয়ালকান্দি, গাড়াবাড়ী, রসুলপুর, মৌহালী, ইজারাপাড়া ও বারবেলা গ্রামের প্রায় ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।

চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের তিনটি ইউনিয়নে ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা ভাঙন কবলিতদের জন্য চার টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। যাদের বাড়ি ভেঙে গেছে, তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে আবেদন করলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।া।


    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ