রাজনীতি
24 Bangladesh
৩০ জুন, ২০২৫ | 7:09 AM
পিরোজপুর জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার তিন দিন পর ওই কমিটির এক যুগ্ম-আহ্বায়কসহ দুজনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. অলিউল ইসলাম মিলন ও সদস্য মো. আরিফুল হকের পদ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, কমিটি গঠনের পরপরই আরেক যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ স্থগিত করা হয়। পদ স্থগিত হওয়াদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল বলে জানান জেলা যুবদলের আহ্বায়ক।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। কমিটিতে কামরুজ্জামান তুষারকে আহ্বায়ক এবং এমদাদুল হক মাসুদকে সদস্যসচিব করা হয়। কমিটিতে ১৩ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক ও বাকিদের সদস্য করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণার এক ঘণ্টার মধ্যেই যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাসেল খান ডালিমের পদ স্থগিত করা হয়। এরপর রবিবার রাতে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. অলিউল ইসলাম মিলন সদস্য মো. আরিফুল হকের পদ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের নীতি ও আদর্শপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাদের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তারা দলীয় সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন। যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান তুষার বলেন, ‘যুবদলের ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের প্রধান দায়িত্ব। কোনও অনিয়ম বা আপত্তিকর বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এটি তারই অংশ। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় এবং এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকায় তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।’
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘পদ স্থগিত হওয়াদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মারুফ হাসানকে আহ্বায়ক ও এমদাদুল হক মাসুদকে সদস্যসচিব করে জেলায় ৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরে বিভিন্ন অভিযোগে ওই কমিটির আহ্বায়ক মারুফ হাসান, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. বদিউজ্জামান শেখ রুবেল ও রিয়াজ সিকদারকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কামরুজ্জামান তুষারকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়।