প্রবাস
24 Bangladesh
১২ আগস্ট, ২০২৫ | 10:17 AM
গাজার আকাশ যখন ধোঁয়া আর ক্ষুধার কালো ছায়ায় আচ্ছাদন ঠিক তখনই মানবতার এক বিশাল বহর ছুটে এলো রাফাহ সীমান্ত দিয়ে।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে মিশর-ফিলিস্তিন সীমান্তের রাফাহ এল-ব্রি ক্রসিং হয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে মিশরের আল-আজহার শরীফের ‘জাকাত ও সদকা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের অনুদানে পাঠানো লাল-সবুজ পতাকা খচিত ত্রাণবাহী লরির বিশাল এক ত্রাণ বহর।
বিশ্বের ৮৫টিরও বেশি দেশের দাতব্য ও মানবিক সংস্থার সঙ্গে মিশরে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মানবিক সংস্থা ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন, বি.এম শাবাব ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থা, ‘Mojo’, হালিমা নূর ফ্যামিলি, ঢাকা আরসিন গেট শাহী জামে মসজিদ এবং আল ইহসান নেটওয়ার্কের পাঠানো ১৫টি খাদ্য ভর্তি কনটেইনার রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করে গাজায় প্রবেশ করে। ত্রাণ বহরের কনটেইনারগুলোতে ছিল এক হাজারেরও বেশি সজ্জিত তাঁবু, খাদ্য সামগ্রী, বিশুদ্ধ পানীয় জল, শিশুদের দুধ ও ডায়াপার, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ, গৃহস্থালি সামগ্রী, পোশাক, কম্বল, আলু, শুকনো ও টিনজাত খাবারসহ নানাবিধ সহায়তা।
ওয়ান ওয়ার্ল্ড উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হোজাইফা খান এই প্রতিবেদককে বলেন, এই ত্রাণ বহরে শুধু পণ্য নয়—এটি ভালোবাসা, সহানুভূতি আর ভ্রাতৃত্ব প্রতীক। আল-আজহার শরিফের গ্র্যান্ড ইমাম, ড. আহমদ আল-তায়েবের নির্দেশে পাঠানো এই বহর গাজার অবরুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের কাছে পৌঁছাবে জীবন বাঁচানোর আশার আলো নিয়ে।
তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজার মানুষ প্রাণঘাতী অনাহার ও দুর্ভিক্ষে ভুগছে। সম্প্রতি উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ ও মানবিক সংকট নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মিশরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা, আল-আজহার শরিফের গ্র্যান্ড ইমাম ড. আহমদ আল-তায়িবের নির্দেশনায় মিশরের ‘যাকাত ও সদকা’ ফাউন্ডেশন দ্রুত এই ত্রাণ বহর পাঠায়।
আল-আজহারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজার ক্ষুধাক্লিষ্ট মানুষের জন্য এই উদ্যোগ শুধু খাদ্য ও আশ্রয়ের সহায়তা নয়, বরং বিশ্বব্যাপী মানবিক সংহতি ও সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে।