খেলা
24 Bangladesh
৪ আগস্ট, ২০২৫ | 6:17 AM
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমর্থকদের চোখে তখন আশার ঝিলিক-পিচে আছেন শেরফান রাদারফোর্ড, ৫১ রানে অপরাজিত। হাতে মাত্র ৬ বল, দরকার ২৫ রান। ব্যাটিংয়ে তখনো শেরফান রাদারফোর্ড, যিনি আগের ওভারে হারিস রউফকে ছক্কা মেরে চাপ বাড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের ওপর। তবে শেষ ওভারে এসে নাটকীয় মোড় নেয় ম্যাচের। হাসান আলীর করা প্রথম বলটি ডট, পরের বলেই রাদারফোর্ড তুলে দেন ক্যাচ-সরাসরি বাউন্ডারিতে।
শেষ চার বলে গুড়াকেশ মোতির ব্যাট থেকে একটি চার ও একটি ছয় এলেও তাতে ম্যাচ বাঁচানো যায়নি। পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্য ছুঁতে শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়রা থেমে যায় ১৭৬ রানে। ১৩ রানের জয়ে সিরিজও ২–১ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান।
শেষ ওভারে হাসান আলীর কৃতিত্ব থাকলেও পাকিস্তানের জয় রচনায় মূল ভিত্তি গড়ে দেন দুই বোলার—সুফিয়ান মুকিম ও হারিস রউফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেখানে পাওয়ার প্লেতেই তোলে ৫৯ রান, সেখানে মাঝের ওভারে আঁটসাঁট বোলিং করে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন পাকিস্তানি বোলাররা।
১৬ ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৪৯ রান। রউফ ১৭তম ওভারে দেন মাত্র ৮ রান, আর মুকিম ১৮তম ওভারে দেন আরও কম—মাত্র ৩ রান! এই ওভারে তিনি বোল্ড করেন আগের ম্যাচের নায়ক জেসন হোল্ডারকে। ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার মুকিম তাঁর চার ওভারে খরচ করেন মাত্র ২০ রান, নেন ১ উইকেট।
রউফ ১৯তম ওভারে খান ১৩ রান, যেখানে একটি ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড। কিন্তু শেষ ওভারে হাসান আলীর অভিজ্ঞতা জয় এনে দেয় বাবর আজমের দলকে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চমৎকার শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। ১৭তম ওভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দুজনের ব্যাটে উঠে আসে ১৩৬ রানের জুটি। ফিফটি তুলে নেন দুজনই—ফারহান করেন ৫৩ বলে ৭৪ রান (৫ ছক্কা, ৩ চার), সাইম করেন ৪৯ বলে ৬৬ রান (২ ছক্কা, ৬ চার)।
শেষদিকে হাসান নওয়াজের ৭ বলে ১৫ আর খুশদিল শাহর ৬ বলে ১১ রানে ভর করে ১৮৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় পাকিস্তান।
এরপর পাকিস্তান শুধু ম্যাচ জেতেনি, জিতেছে আত্মবিশ্বাস, জিতেছে সিরিজও!