খেলা
24 Bangladesh
৪ আগস্ট, ২০২৫ | 7:37 AM
বাংলাদেশ ক্রিকেটে দীর্ঘদিন ধরে ‘উইকেট বিতর্কে’র কেন্দ্রে আছে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। সেই মাঠের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সময় যেন এবার শেষের পথে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করে এলেও তাকে ঘিরে প্রশ্নের শেষ নেই। বিশেষ করে মিরপুরের ধীরগতির, ব্যাটসম্যান-বান্ধব না হওয়া উইকেট নিয়ে বারবার উঠেছে সমালোচনার ঝড়!
এবার বিসিবি নিজেই গামিনির বিকল্প খুঁজতে মাঠে নেমেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়েই তার চুক্তি এক বছরের জন্য নবায়ন করেছে বোর্ড। তবু ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘অবশ্যই সেটার (গামিনির বিকল্প খোঁজা) কাজ চলছে।’
আগামী সিরিজে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তৈরির চেষ্টা করছে বিসিবি। ফাহিম বলছিলেন, ‘আমাদের এখানে সম্ভাব্য সেরা উইকেট খুব সম্ভবত সিলেটে। সেখানে রান হয়। টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট দরকার যেখানে রান হবে।’
সিলেটে ১৭০-১৮০ রানযোগ্য উইকেট বানানোর চেষ্টার কথাও জানান তিনি। প্রয়োজনে ২০০ রানের উইকেট বানানোও লক্ষ্য, যদিও সেটা বাস্তবে কঠিন। তবে অন্তত এমন পিচ চান যেখানে ১৩০-১৪০ রানে আটকে না যেতে হয় ব্যাটিং দলকে।
গামিনির অধীনে মিরপুরের উইকেট মাঝেমধ্যে বাংলাদেশকে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে সাফল্য এনে দিলেও তা সমালোচনার বাইরে নয়। অনেকেই উইকেটকে তুলনা করেছেন ‘মাইনফিল্ড’-এর সঙ্গে। ক্রিকেটাররাও অসংখ্যবার বলেছেন, এ ধরনের উইকেট দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে সহায়ক নয়।
২০১০ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা গামিনির বেতনও চোখে পড়ার মতো-প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। কিছুদিন আগে এক বছরের জন্য তার চুক্তি বাড়ানো হলেও বিসিবির ভেতরে ভিন্ন সুর। বোর্ডের শীর্ষপর্যায়েই তার থাকা নিয়ে আপত্তি দেখা যাচ্ছে। সূত্র বলছে, এখন আর তাকে রাখার পক্ষপাতী নন বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও!