প্রবাস
24 Bangladesh
৩ আগস্ট, ২০২৫ | 8:19 AM
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে একের পর এক সাহসী এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দূতাবাস। তার দৃঢ় অবস্থানের ফলে ভিসা দালালদের সিন্ডিকেটে নেমেছে ধস, অসাধু নিয়োগদাতাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডেও এসেছে নিয়ন্ত্রণ।
একসময় কুয়েতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা তেমনভাবে মানা হতো না। শুধু ভিসা পেলেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠিয়ে দেওয়া হতো। এই শিথিলতার সুযোগে গড়ে উঠেছিল দালালদের শক্তিশালী চক্র, যারা মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে বিপদে ফেলত। বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন। রাষ্ট্রদূতের সুস্পষ্ট নির্দেশনায় এখন কোনো কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে হলে অবশ্যই প্রবাসীবান্ধব নির্ধারিত শর্ত মানতে হয়, যা দূতাবাস কঠোরভাবে তদারকি করছে।
ভিসা অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে শ্রমিকের সঙ্গে কমপক্ষে দুই বছরের লিখিত চুক্তি করতে হয়, যেখানে বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও প্রাপ্য ছুটির নিশ্চয়তা দিতে হয়। এসব তথ্য সংবলিত প্রত্যয়নপত্রে কোম্পানির স্বাক্ষর থাকার পরই ভিসার সত্যায়ন দেওয়া হয়।গৃহকর্মী নিয়োগেও আগে কোনো নির্ধারিত নিয়ম ছিল না। এখন নিয়োগকর্তাকে দূতাবাসে এসে সরাসরি কর্মীর জন্য বেতন, ছুটি ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে গৃহকর্মীর ওপর কোনো অবিচার বা প্রতারণা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পথ উন্মুক্ত থাকছে।
দূতাবাসের নজরদারিতে সম্প্রতি ‘ওয়েল আল নসিফ’ নামে একটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানটি ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি ভিসায় শ্রমিক এনে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে আদায় করত। প্রবাসীদের সেবায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা চালু করেছেন আরও কিছু স্বচ্ছ ও জনবান্ধব উদ্যোগ। এখন প্রতি মাসে দূতাবাসে গণশুনানি হয় এবং কাজের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়। দূতাবাস স্টাফদের নেমপ্লেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে সবাই পরিচিত থাকে। দালালদের শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ভিসা ও পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় আনা হয়েছে স্বচ্ছতা ও গতি। হালনাগাদ রাখা হচ্ছে দূতাবাসের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট, যাতে প্রবাসীরা প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে পান।