ধর্ম
24 Bangladesh
২৯ জুন, ২০২৫ | 9:14 AM
হিজরি সালের প্রথম মাস মহররম ইসলামে মর্যাদাপূর্ণ মাস। কোরআনে চারটি মাসকে হারাম বা সম্মানিত মাস বলা হয়েছে তার অন্যতম মহররম। হাদিসে এ মাসটিকে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে।
এ মাসের রোজাকে রমজানের রোজার পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ বলা হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ
রমজানের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররমের রোজা এবং ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হচ্ছে রাতের নামাজ। (সহিহ মুসলিম: ২৬২৬)
মহররম মাসে যেহেতু আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দৌহিত্র হজরত হোসাইন মর্মান্তিকভাবে শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তাই আমাদের দেশে অনেকে মনে করেন মহররম মাস বিয়ের জন্য অশুভ এবং মহররম মাসে কেউ বিয়ে করলে তাদের সংসার টিকবে না সুখের হবে না ইত্যাদি।
ইসলামের বিশ্বাস ও শিক্ষা অনুযায়ী এ রকম ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী সব মাস বা সব দিনই ভালো। কোনো মাস বা দিনকে অশুভ বা অলক্ষুণে মনে করার কোনো সুযোগ নেই। ভালো ও বৈধ কাজ যে কোনো দিন করলে আল্লাহ তাতে কল্যাণ দান করতে পারেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সময়কে মন্দ বলতে বা গালি দিতে নিষেধ করে বলেছেন لاَ يَسُبُّ أَحَدُكُمُ الدَّهْرَ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ الدَّهْرُ
তোমরা কেউ যেন সময়কে গালি না দাও, কারণ আল্লাহই সময়’ (সহিহ মুসলিম: ৫৮২৭)
অর্থাৎ সময়ের স্রষ্টা ও নিয়ন্ত্রক আল্লাহ নিজেই, যা হয়, আল্লাহ ইচ্ছায় হয়, সময় অশুভ হয় না বা সময়ের কোনো ক্ষমতাও নেই।
অলক্ষণে বিশ্বাস করাকে হাদিসে শিরক বলা হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামالطِّيَرَةُ شِرْكٌ الطِّيَرَةُ شِرْكٌ ثَلاَثًا وَمَا مِنَّا إِلاَّ وَلَكِنَّ اللهَ يُذْهِبُهُ بِالتَّوَكُّ
لِ) বলেন,