রাজনীতি
24 Bangladesh
৯ আগস্ট, ২০২৫ | 6:27 AM
জাতীয় পার্টির (আনিসুল ইসলাম ও রুহুল আমিন হাওলাদার) কাউন্সিল অধিবেশন শুরু।
কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেছেন প্রথম নতুন জাতীয় পার্টি (জেপি) গঠন করা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। পাশাপাশি রওশনের জাতীয় পার্টি ও কাজী জাফর আহমদের জাতীয় পার্টির অনেক নেতা যোগদান করেছেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) সোয়া ১১টায় গুলশানের ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির দীর্ঘ সময়ের মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকারী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এভাবে ২০২৪ সালের ৯ মার্চ এক তরফা কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টি (রওশন) গ্রুপ যাত্রা করেছিল।
২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় ইসির কাছে দু’মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। এরপর আবার চিঠি দিয়ে সময় বাড়িয়ে নেয়।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের ওই কাউন্সিলকে অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন জিএম কাদের পন্থীরা। তারা সকলেই বহিস্কৃত তাদের কাউন্সিল ডাকার কোন এখতিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
যেভাবে দ্বন্দের সুত্রপাত!
গত ২০ মে তারিখে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সভা থেকে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণার পর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ভাড়া করা হয় পার্টির পক্ষ থেকে। আগে বুকিং গ্রহণ করলেও ঈদের পর সম্মেলন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ হল ভাড়া দিতে অপারগতা জানায়। এ কারণে সস্মেলনের তারিখ স্থগিত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তার একদিনের মাথায় মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই আগামী দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিত করেছেন। এ সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত।
তারা বলেন, গত ২০ মে পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কোনো কারণবশত বরাদ্দকৃত সম্মেলনস্থল না পাওয়া গেলে বিকল্পভাবে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (৬৬ পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইল) সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। এককভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দলীয় গঠনতন্ত্র, প্রেসিডিয়ামের সম্মান এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। আমরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি সম্ভবত রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন কবলিত। এরশাদের জীবদ্দশায় জাপা, জেপি, বিজেপি ও জাপা (জাফর) নামে চার টুকরো হয়ে যায়। এরশাদের মৃত্যুর পর সহধর্মিণী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরেকটি জাপার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রওশন গ্রুপের তেমন কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। মাঝে মধ্যে বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ওই গ্রুপটির কার্যক্রম।জাপার গ্রুপগুলোর মধ্যে জেপি (মঞ্জু) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ছিল। বিজেপি এবং জাপা (জাফর) রয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছে।