বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 17, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

সারাদেশ

পটিয়ায় ওসি প্রত্যাহারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের থানা ঘেরাও, সড়ক অবরোধ

Picture of the author

24 Bangladesh

২ জুলাই, ২০২৫ | 7:35 AM

Picture of the author

পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই, ফলে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা ও উত্তেজনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথম দফায় ছয়জন আন্দোলনকারী এবং চার পুলিশ সদস্য আহত হন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের প্রত্যাহারের দাবিতে থানা ঘেরাও ও সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়, যা থানা ফটক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শুরুতেই পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এতে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে এবং এক নেতা আহত হন বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে, মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার শহীদ মিনার এলাকা থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে ‘আটক করে’ থানায় নিয়ে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।

দাবি করেন, ওই নেতা রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

তবে পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই, ফলে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা ও উত্তেজনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথম দফায় ছয়জন আন্দোলনকারী এবং চার পুলিশ সদস্য আহত হন বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এতে আরও নয়জন আন্দোলনকারী আহত হন বলে জানায় সংগঠনটি।

বুধবার সকাল থেকে থানা ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হলে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। ধাক্কাধাক্কিতে আহত হন একজন নেতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নগর মুখপাত্র ফাতেমা খানম বলেন, ওসি পুলিশ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এখন আমরা তার অপসারণ চাই। থানার ফটকের সামনে অবস্থান চলছে, এরসঙ্গে সড়কেও বসে পড়েছে অনেকে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর তিনি নিজেকে বিএনপির ঘনিষ্ঠ দাবি করে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তারা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে পুলিশের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধভাবে লাঠিচার্জ করে অন্তত ১৯ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়।

অবস্থানকারীরা জানান, থানা চত্বরে আন্দোলনকারীদের ‘মারধর’ এবং পুলিশের ‘আগ্রাসী আচরণে’র প্রতিবাদে এই ঘেরাও এবং সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে। তারা জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত অবস্থান চলবে।

তবে ওসি আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার রাতে ওসি বলেছিলেন, ছাত্রলীগের নেতাকে থানায় নিয়ে আসার পর তাকে মারধরের চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভেতরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।






    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ