শুক্রবার, ১০ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 25, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের হার কিছুটা কমতে পারে: অর্থ উপদেষ্টা

Picture of the author

24 Bangladesh

২৩ জুলাই, ২০২৫ | 12:43 PM

Picture of the author

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে, সে শুল্কের হার কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।


 তিনি বলেছেন, আলোচনা করতে আগামী ১ আগস্টের আগেই প্রতিনিধিদল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।


বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।


বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেড় লাখ টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউরিয়া, টিএসপিসহ বিভিন্ন রকম সার আছে। এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছি।


তিনি বলেন, ২৫ লাখ টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর যুক্তি হচ্ছে— আমরা একটু ডাইভার্সিফাই করতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়ান ব্লক কিংবা ইউক্রেইন ব্লকে একটা অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের আমদানি বাড়ানোর নেগোশিয়েশন চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ভালো।


দাম তুলনামূলক বেশি কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, দাম একটু বেশি হলেও আমরা অন্যদিক দিয়ে সুবিধা পাব। এই গমের প্রোটিনও কিছুটা বেশি। প্রোটিন খুব বেশি তা নয়, তবে একটু বেশি।


যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক প্রয়োগের আর আট দিন বাকি আছে, এর মধ্যে আর আলোচনা হবে? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখানে যাবেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি, শুল্ক হয়ত কিছু কমাবে। কারণ, আমাদের সঙ্গে ঘাটতি তো খুবই কম। ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে, এ বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ক্ষেত্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই। কারণ, লম্বা সময় নিয়ে কোনো নেগোশিয়েশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে, কুইক করতে হবে। ওরা তো ঢুকতেই পারবে না ওই অফিসের কাছাকাছি, নেগোশিয়েশন তো দূরের কথা।


তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের কতগুলো বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।


    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ