অর্থনীতি
24 Bangladesh
২৫ জুন, ২০২৫ | 12:21 PM
সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশেষ করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল। তবে ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির খবরে বাজার দ্রুত ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার শেয়ারবাজারে বড় ধরনের পতন ঘটে। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এরফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৭ পয়েন্ট কমে যায়, যা বাজারের সার্বিক পরিস্থিতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা বাজারের নিম্নমুখী প্রবণতাকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
তবে আতঙ্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এরপরের দিন সোমবার ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির খবর শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই খবরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসে এবং বাজার ইতিবাচক অবস্থায় ফিরে আসে। সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায় এবং লেনদেন বেড়ে ২৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।
এই ইতিবাচক প্রবণতা পরবর্তী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকে। মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক আরও ২২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায় এবং লেনদেন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে ৩৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকায় পৌঁছায়। আজ বুধবার ডিএসইএক্স প্রায় ৫০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। যা বাজারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়। এদিন লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১৩ কোটি ২১ লাখ টাকা, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত তিন দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক মোট ৯০ পয়েন্ট ফিরে পেয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক এবং দৈনন্দিন লেনদেনের পরিমাণও ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে, যা সামগ্রিক বাজারের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা।
বুধববারের বাজার পর্যালোচনা
আজ (২৫ জুন) ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৯.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৬৭.৬৪ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ১৫.০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬.০৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ১৮.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৯০.০৯ পয়েন্টে।
আজ ডিএসইতে মোট ৪০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৯৫টির দর বেড়েছে, ৪৬টির দর কমেছে এবং ৫৯টির দর অপরিব
র্তিত রয়েছে।