সারাদেশ
24 Bangladesh
১৯ জুলাই, ২০২৫ | 12:21 PM
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গরু-বাছুরের মধ্যে ল্যাম্পি স্কিন রোগের (এলএসডি) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ভাইরাসজনিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে গরু ও বাছুর। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারের মালিক এবং প্রান্তিক গৃহস্থরা।
শনিবার (১৯ জুলাই) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বরাটী গ্রামের আব্দুল বারেক মিয়া ও আবু সাইদ মিয়া এ প্রসঙ্গে জানান, তার বাড়িতে একটি বাছুরের মধ্যে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা গিয়েছে। অনেক চিকিৎসা করেও বাছুরটি ভালো করতে পারছেন না। এর আগে গত বৃহস্পতিবার শুব্যা গ্রামের এক কৃষকের একটি গরু ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে মারা গেছে। তাদের মতো অনেকেরই অভিযোগ এমন অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের খামারে এবং গৃহস্থদের গরু-বাছুরের মধ্যে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাসজনিত কারণে গরু-বাছুরের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে গরু-বাছুর। গত কয়েক মাসের ব্যবধানে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে অর্ধশতাধিক গরু-বাছর মারা গেছে বলে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুভাশিস কর্মকার বলেন, ভাইরাসজনিত কারণে ও মশা-মাছি থেকে ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ গরু-বাছুরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। গরু-বাছুরের মধ্যে এই রোগ দেখা দিলে অনেক খামারের মালিক ও স্থানীয় গৃহস্থরা হাতুড়ে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এ কারণে সঠিক সময়ে ভালো চিকিৎসা না হওয়ার কারণে গরু-বাছুর মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মির্জাপুর উপজেলা থেকে রোগাক্রান্ত গরু-বাছুরের রক্ত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০০ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। গরু-বাছুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে পশু হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া খামারের মালিক ও গৃহস্থদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।