প্রবাস
24 Bangladesh
১৩ আগস্ট, ২০২৫ | 3:17 PM
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কল্যাণে গুরুত্ব দিতে বাংলাদেশ জোরালোভাবে দাবি উত্থাপন করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মঙ্গলবার রাতে কুয়ালালামপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ঘন ঘন আসছি এবং আন্তরিকতার সঙ্গে আলোচনা করছি। তারা (মালয়েশিয়া) ভালো সাড়া দিয়েছে এবং অভিবাসীদের কল্যাণের বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।’
শফিকুল আলম বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের কাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, তবে এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি মানবপাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যে আলোচনাকে ‘অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ’ হিসেবে বর্ণনা করে শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেন, এর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শিগগিরই শুরু হবে।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে আলম বলেন, এর সমাধানে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এর আগে, তিন দিনের সফরে থাকা প্রফেসর ইউনূস মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য তাদের দ্বার খোলা রাখার আহ্বান জানান।
আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে এবং দুই দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমরা মালয়েশিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ এবং আমরা আশা করি এই সুযোগ আরও প্রসারিত হবে, যেন আমরা আরও তরুণদের মালয়েশিয়ায় কাজ করতে এবং মূল্যবান দক্ষতা অর্জনের জন্য পাঠাতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক বাংলাদেশিকর্মী দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন, যা অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করে।
প্রধান উপদেষ্টা জোর দেন, শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, অভিবাসী কর্মীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা শক্তিশালী ‘পিপল-টু-পিপল’ সংযোগের কারণেও বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই কর্মীরা যে রেমিট্যান্স পাঠান, তা তাদের পরিবারের জীবনযাত্রা, সন্তানদের শিক্ষা এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করে।