বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 17, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

ধর্ম

‘বইয়ের রাজধানী’ খ্যাতি পেয়েছে ইরানের যে শহর

Picture of the author

24 Bangladesh

২২ জুন, ২০২৫ | 10:34 AM

Picture of the author

‘বইয়ের রাজধানী’ বা `বুক ক্যাপিটাল’ খাতি পেয়েছে ইরানের শিরাজ শহর। ২০২০ সালে বইয়ের রাজধানী নির্বাচিত হয়েছিল শহরটি। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফর্স প্রদেশের রাজধানী শিরাজ। এটি ইরানের ষষ্ঠ জনবহুল শহর। ইরানের মহাকবি হাফিজ ও শেখ সাদীর জন্মস্থান এই শহর।

‘বইয়ের রাজধানী’ বা `বুক ক্যাপিটাল’ খাতি পেয়েছে ইরানের শিরাজ শহর। ২০২০ সালে বইয়ের রাজধানী নির্বাচিত হয়েছিল শহরটি। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফর্স প্রদেশের রাজধানী শিরাজ। এটি ইরানের ষষ্ঠ জনবহুল শহর। ইরানের মহাকবি হাফিজ ও শেখ সাদীর জন্মস্থান এই শহর।


ইরানের জাতীয় গ্রন্থাগার ও আর্কাইভে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শহরটিকে ইরানের ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল বা বিশ্ব বইয়ের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস সালেহি এবং কয়েকজন সাংস্কৃতিক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

উর্মিয়া, তাবরিজ, হামেদান, সাবজেভার, বুশেহর, বাবোল, বান্দর আব্বাস এবং বোজনুর্দসহ ৩০টিরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী শহরের মধ্য থেকে শিরাজকে ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল নির্বাচিত করা হয়।

ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক গাইডেন্স মন্ত্রণালয় এবং ইউনেস্কোর ইরানি কমিশনসহ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংস্থার সহযোগিতায় শিরাজ শহরকে বইএছাড়াও ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলের ১০টি গ্রামকে ‘বইপ্রেমী গ্রাম’ (Book Loving Villages of the Year) হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

এই গ্রামগুলো হলো— জাভারোম (উত্তর খোরাসান), বাদেকান (ইসফাহান), সাইয়্যেদাবাদ (পশ্চিম আজারবাইজান), বোনেগাজ (বুশেহর), আলাভিয়েহ (ফারস), খেইরাবাদ (কোহকিলুয়ে ও বয়ার আহমাদ), খোরশিদ (মাযান্দারান), ইসিন (হরমোজগান), সাইয়্যেদশাহাব (হামেদান), গারদকুহ (ইয়াজদ)।

এর আগে ২০১৯ সাল বইয়ের রাজধানী ছিল ইরানের মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক মসজিদ ও প্রাচীন জরথুষ্ট্রীয় অগ্নি উপাসনালয়ের জন্য বিখ্যাত শহর ইয়াজদ।

ইরানের শিরাজ শহর ২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, তবে ২০২৩ সালে ঘানার রাজধানী আক্রা এই অবস্থান লাভ করে। ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে বইয়ের বিশ্ব রাজধানীর ভূমিকায় ছিল ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গ। ২০২২ সালের ২০ জুলাই স্ট্রাসবার্গকে ২০২৪ সালের বইয়ের রাজধানী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০২৫ সালের জন্য বিশ্ব বইয়ের রাজধানী হিসাবে ইউনেস্কো কর্তৃক মনোনীত হয়েছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহর।

‘ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল' ধারণাটি ২৯ বছর আগের। আন্তর্জাতিক প্রকাশক সমিতির পরামর্শে ১৯৯৬ সালে প্রথম এটি শুরু হয়। ২০০১ সালে মাদ্রিদ নিজেকে বিশ্ব বইয়ের রাজধানী বলে অভিহিত করে। বছরের পর বছর ধরে একটি প্রতীকী হস্তান্তরের প্রথা চলে আসছে।

'ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল' উপাধি আকৃষ্ট করার জন্য একটি শহর বই এবং পড়ার সহায়ক একটি প্রোগ্রাম প্রস্তুত করে। প্রস্তাবিত শহরগুলো প্রতিযোগিতা করে। একটি উপদেষ্টা কমিটি প্রক্রিয়াটির তত্ত্বাবধান করে এবং এতে ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক বই বিক্রেতা ফেডারেশন (ইআইবিএফ), আন্তর্জাতিক লেখক ফোরাম (আইএএফ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন (আইএফএলএ), ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইপিএ) ও ইউনেস্কোর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত থাকে। রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।




    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ