জাতীয়
24 Bangladesh
২৮ জুন, ২০২৫ | 1:19 PM
ঢাকার বিজয় সরণিতে ৫ অগাস্ট অভ্যুত্থানের দিন ভেঙে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ‘মৃত্যুঞ্জয়’ এর আশপাশের স্থাপনাও ভেঙে ফেলা হল, সেই জায়গায় হবে জুলাই শহীদদের স্মরণে ‘গণমিনার’।
আসছে জুলাইয়ে নতুন ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু হবে। সেজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শুক্রবার সকাল থেকেই বিজয় সরণির ওই ভাস্কর্য ঘিরে বানানো ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ এর সাতটি দেয়াল ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়, তা চলে দিনভর। জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ অগাস্ট ওই প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়।
২০২১ ও ২০২২ সালে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে 'মৃত্যুঞ্জয়' নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য প্রদর্শিত হয়। পরে ওই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয় ঢাকার বিজয় সরণিতে, ভাস্কর্য ঘিরে গড়ে তোলা হয় 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ'।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নির্মিত ওই চত্বরের সাতটি দেয়ালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অন্যান্য আন্দোলন ও বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিত্রিত করা হয়। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সেদিন ঢাকার আরও অনেক ভাস্কর্যের মত বিজয় সরণির মৃত্যুঞ্জয়ও ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগের স্মৃতিকে ধরে রাখতে সম্প্রতি বিজয় সরণিতে ‘গণমিনার’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে মাধ্যমে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ জানায়, এই উদ্যোগে গণমানুষের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে গণচাঁদা সংগ্রহের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের স্মরণেই নির্মিত হবে গণমিনার।”
আগামী ৫ অগাস্টের মধ্যে এই মিনারের একটি প্রাথমিক দৃশ্যমান রূপ দিতে চায় কমিটি। পুরো বিজয় সরণি ধরেই তাদের এই পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।