লাইফস্টাইল
24 Bangladesh
১৪ আগস্ট, ২০২৫ | 9:48 AM
বর্ষাকালে মশার সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়, যার ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করলে মশা মুহূর্তে উধাও হয়ে যাবে।
বর্ষায় জায়গায় জায়গায় জল জমে যায়, যার ফলে মশা দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে শুরু করে। মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসসহ গুরুতর রোগ ছড়ায়। এই কারণেই বর্ষায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মানুষকে বর্ষায় মশা থেকে বাঁচার পরামর্শ দেন, যাতে কোনো ধরনের রোগের ঝুঁকি না থাকে। সব চেষ্টা করেও অনেক সময় বাড়িতে মশা উপদ্রব চালিয়ে যায়। যদি আপনি মশা নিয়ে বিরক্ত হন, তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায়ে মশা তাড়াতে পারেন। মশা তাড়ানোর ৫টি দেশি উপায় জেনে নিন
নিম ও তুলসি – নিম ও তুলসি উভয়ই আয়ুর্বেদে ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। নিমপাতায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মস্কিটো গুণ রয়েছে। ত্বকে নিম তেল লাগালে মশা কাছে আসে না এবং নিমপাতা পোড়ালেও মশা পালিয়ে যায়। বাড়িতে তুলসির গাছ লাগালে মশার প্রবেশ কমে, কারণ এর গন্ধে মশা দূরে সরে যায়। সন্ধ্যায় তুলসির পাশে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে মশা থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
কর্পূর ও রসুন – কর্পূর পোড়ালে যে ধোঁয়া হয়, তা মশা তাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি বাড়ির প্রতিটি ঘরে ১৫ মিনিট ধরে জ্বালাতে পারেন। অন্যদিকে, রসুন বেটে জলে ফুটিয়ে সেই জল ঘরে স্প্রে করুন। এর তীব্র গন্ধে মশা পালিয়ে যায় এবং আশেপাশের পরিবেশও বিশুদ্ধ হয়। এই পদ্ধতি বিশেষ করে ছোট শিশু বা প্রবীণদের বাড়িতে উপকারী, কারণ এতে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার হয় না।
লেবু ও লবঙ্গ – এটি একটি পুরনো ও জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায়, যা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কার্যকর হয়। লেবু অর্ধেক কেটে তাতে ৪-৫টি লবঙ্গ গেঁথে ঘরে রেখে দিন। এর গন্ধ এতটাই তীব্র যে মশা কাছে ঘেঁষে না। এটি রাতে বিছানার পাশেও রাখতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং কোনো রাসায়নিক বা স্প্রের প্রয়োজন নেই।
ল্যাভেন্ডার বা সিট্রোনেলা তেল – ল্যাভেন্ডার ও সিট্রোনেলার মতো এসেনশিয়াল অয়েল শুধু মশা তাড়াতেই নয়, বাড়িকে সুগন্ধি ও শান্ত পরিবেশ দিতেও সাহায্য করে। এই তেলের কয়েক ফোঁটা জল মিশিয়ে স্প্রে করুন বা ডিফিউজারে দিন। এটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং শিশু ও এলার্জি-প্রবণ মানুষের জন্যও নিরাপদ। চাইলে এই তেল তুলোতে ভিজিয়ে জানালার পাশে রাখতে পারেন।
মশারি ব্যবহার করুন – যদিও এটি পুরনো উপায়, তবুও আজও সবচেয়ে কার্যকর। মশারি শুধু মশা থেকে রক্ষা করে না, বরং এটি কোনো রাসায়নিক ছাড়াই ১০০% নিরাপদ। বাজারে এখন ভাঁজ করা যায় এমন এবং ভ্রমণের জন্য উপযোগী মশারিও পাওয়া যায়। পাশাপাশি জানালা ও দরজায় ফাইবার নেট লাগালে মশার প্রবেশ বন্ধ হয়। এই নেট দীর্ঘস্থায়ী ও কম খরচে কার্যকর।