Logo
শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 15, 2025
শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 15, 2025
আজকের শিরোনাম:

অর্থনীতি

রপ্তানি আয় সাড়ে ১৬ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা

Picture of the author

24 Bangladesh

১২ আগস্ট, ২০২৫ | 10:53 AM

Picture of the author

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৬ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয়েছিল প্রায় ৫৫ বিলিয়ন ডলার।


মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহবুবু রহমান নতুন এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।


এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


বাণিজ্য সচিব বলেন, রপ্তানির এই নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে।


তিনি জানান, তৈরি পোশাক খাতের (ওভেন) রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ১৪.৩১% প্রবৃদ্ধি ধরে ২০,৭৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং তৈরি পোশাক খাতের (নীট) রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ১২.০১% প্রবৃদ্ধি ধরে ২৩,৭০০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। হোম-টেক্সটাইল খাতের ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারের আকৃতি, প্রবৃদ্ধি সম্ভাবনা ও বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বিবেচনায় প্রবৃদ্ধি ১৭.০৩% ধরা হয়েছে। এই খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ১,০২০ মিলিয়ন ডলার।


দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত লেদার ও লেদার গুডসের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,২৫০ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯.১৬% বেশি। তবে খাতের প্রতিনিধিরা ৩০% প্রবৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন।


হিমায়িত ও জীবন্ত মাছের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ২২.০৬% প্রবৃদ্ধি ধরে ৫৩৯ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্য সচিব জানান, এ খাতের নীতিগত সহায়তা, ভেনামি চিংড়ির হ্যাচারি লাইসেন্স প্রদান এবং কোয়ারেন্টিন সুবিধা বৃদ্ধি করা গেলে প্রস্তাবিত প্রবৃদ্ধির চেয়েও বেশি আয় সম্ভব।


পাট ও পাটপণ্যের রপ্তানিতে ৯.৭৩% প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৯০০ মিলিয়ন ডলার। কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২২.৪৩% প্রবৃদ্ধি ধরে আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১,২১০.৪০ মিলিয়ন ডলার।


বাণিজ্য সচিব বলেন, পণ্যের গুণগত মান যাচাই করার জন্য ল্যাব টেস্টিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এ খাতে একটি টেকসই পণ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হবে বাংলাদেশ।

    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ