Logo
শনিবার, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 2, 2025
শনিবার, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 2, 2025
আজকের শিরোনাম:

ধর্ম

‘হিজরতের পথ’ দিয়ে যাওয়া যাবে মদিনা

Picture of the author

24 Bangladesh

৩১ জুলাই, ২০২৫ | 10:48 AM

Picture of the author

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হিজরতের পথ স্মরণীয় করতে সৌদি আরব নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নবী কারিম (সা.)-এর হিজরতের পথে মক্কা থেকে মদিনা যাওয়ার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নবীর পথে আধ্যাত্মিক এ যাত্রার সুযোগ করে দিচ্ছে দেশটি।


পবিত্র মক্কা নগরী থেকে যে পথে পবিত্র মদিনায় হিজরত করেছেন নবী কারিম (সা.) সেই ঐতিহাসিক পথকে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এ জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘ইন দ্য প্রোফেটস স্টেপস’ প্রকল্প। আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প চালু করা হবে নভেম্বরে। ৬ মাস ধরে তা চলবে।


সম্প্রতি প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন মদিনার আমির প্রিন্স সালমান বিন সুলতান। এ জন্য উহুদ পাহাড়ের কাছে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ‘ইন দ্য প্রোফেটস স্টেপস’ প্রকল্পটিতে নবী কারিম (সা.)-এর হিজরতের পথের দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছে ৪৭০ কিলোমিটার। এই পথ মক্কা থেকে মদিনাকে সংযুক্ত করেছে। এর মধ্যে ৩০৫ কিলোমিটার পথ আছে পায়ে হাঁটার উপযোগী। এর মধ্যে ৪১টি ঐতিহাসিক স্থানকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।


নবী কারিম (সা.)-এর হিজরতের গুরুত্ববহন করে এমন গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্থান রয়েছে। এ ছাড়া আছে একটি ‘মাইগ্রেশন মিউজিয়াম’ বা হিজরত জাদুঘর। ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো সেখানে দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হবে।


হিজরতের পথে আটটি স্টেশন আছে। সেখান থেকে হিজরতের গভীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটানো হবে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে ৩০টি রেস্তোরাঁ এবং ৫০টি দোকান। প্রতিদিন এই প্রকল্প ভ্রমণ করতে পারবেন ১২ হাজার দর্শনার্থী। প্রকল্পটি হিজরত বা যাত্রাপথের পরিবর্তিত পরিস্থিতি তুলে ধরবে। তাতে মিশে থাকবে ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধার মিশ্রণ।


প্রিন্স সালমান বলেছেন, ইসলামিক ঐতিহ্যকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের নেতৃত্ব যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তার সাক্ষ্য এই প্রকল্প। এর মধ্য দিয়ে নবী কারিম (সা.)-এর হিজরতের শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। তার হিজরতের সঙ্গে ঐতিহাসিক বিষয়বস্তুকে উদঘাটনের সুযোগ পাবেন।


প্রিন্স সালমান আরও বলেন, সৌদি আরব ইসলামিক ঐতিহ্যের স্থাপনাগুলোকে সংস্কার ও সক্রিয় রাখার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে সৌদি আরবের প্রচলিত রীতি যুক্ত হয়েছে। তিনি দর্শনার্থীদের জন্য একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সৌদি আরবের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।


সৌদি আরবের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের একটি মাইলফলক এই প্রকল্প- এমনটা মনে করেন জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তুর্কি। ঐতিহাসিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় প্রকল্পের যথার্থতা নিশ্চিত করা হয়েছে।






    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ