Logo
শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 1, 2025
শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 1, 2025
আজকের শিরোনাম:

লাইফস্টাইল

সন্তানের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে কী করবেন

Picture of the author

24 Bangladesh

৩১ জুলাই, ২০২৫ | 11:43 AM

Picture of the author

সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে অনেকেই সন্তান থেকেই দূরে চলে যাচ্ছেন। এক সময় যে ছেলে-মেয়ে সারাক্ষণ মা-বাবার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরত, সে-ই এখন দূরে দূরে থাকে। নিজের মতো খেলে, বই পড়ে, চলাফেরা করে। কারো সঙ্গে মনের কথা শেয়ার করে না।


সন্তান বয়ঃসন্ধির দিকে একটু একটু করে এগোচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মা-বাবার থেকে দূরে চলে যাওয়া মোটেই ঠিক হয় না। আর এমন ঘটনার পেছনে অনেকাংশে মা-বাবাই দায়ী হয়। অফিসের কাজ, সংসারের দায়িত্ব সামলিয়ে সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। কিন্তু সন্তানের সঙ্গে মা-বাবায়ের বন্ডিংও মজবুত করা দরকার।


তাই কাজে আসতে পারে এই তিন উপায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—


সন্তানের স্কুল, পড়াশোনা, খেলাধুলা সবই যেন থাকে। সে কোন সময়ে কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, সেটা আপনি জানেন। তাই তার রুটিনের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে নিজের রুটিনটা সাজান।


হয়তো সারাক্ষণ সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন না। কিন্তু ব্যস্ততার ফাঁকে ছোট ছোট মুহূর্তগুলো সন্তানের সঙ্গে কাটাতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফোন করে তার খবর নিতে পারেন। স্কুলে দিয়ে আসা, স্কুল থেকে বাড়ি আনার মতো কাজগুলো করতে পারেন।


সন্তানের জীবনে কী চলছে, সে বিষয়ে আগ্রহ দেখান।


সন্তানের সঙ্গে এমন ভাবে মিশুন, যাতে সে মনের সব কথা আপনাকে খুলে বলতে পারে। সন্তানের স্বাস্থ্য, তার কোন বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে, সে কী খেতে ভালোবাসে, কী করতে চায়, পছন্দ-অপছন্দ, সব বিষয়ে জানার চেষ্টা করুন। সে স্কুলে কিভাবে সময় কাটায়, তার দিন কেমন গেল—এসব বিষয়ে আগ্রহ দেখান। এতে সন্তান বিপদের হাত থেকে বাঁচবে এবং সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কও সুন্দর হবে।জেন জি ও জেন আলফা তাদের মা-বাবার তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ওভারপ্রোটেক্টিভ পেরেন্ট না হয়ে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো করে মিশুন। সারা দিন সন্তানকে সময় দিতে না পারলেও সকালের নাশতা ও রাতের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন।


সপ্তাহান্তে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান। তার পছন্দগুলো একসঙ্গে করুন। সন্তান যেটা করতে ভালোবাসে, সেটায় তাকে আরো উৎসাহ দিন। সব সময় ওর ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা না করে তাকে এমন ভাবে বোঝান, যাতে ও নিজেই ঠিক-ভুল বুঝতে পারে। এতে সন্তানের আপনার প্রতি বিশ্বাস অটুট থাকবে।


সূত্র : এই সময়





    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ