তথ্যপ্রযুক্তি
24 Bangladesh
৯ আগস্ট, ২০২৫ | 9:52 AM
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সম্প্রতি ইনটেল সিইও’র পদত্যাগের দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে কিছু সময় চুপ থাকার পর নীরবতা ভাঙলেন কোম্পানিটির প্রধান।
বৃহস্পতিবার ইনটেলের ব্লগে প্রকাশিত এক ইমেইল বার্তায় কোম্পানিটির সিইও লিপ-বু ট্যান বলেছেন, তার প্রতি কোম্পানির বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
ইমেইলে ট্যান নিজের সততার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম চিপ নির্মাতা কোম্পানিটিকে গুরুত্বপূর্ণ এক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে তার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার।
ট্যান বলেছেন, “চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করছি আমি। এই কঠিন সময়ে ইনটেলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা কেবল আমার কাজ নয়, আমার জন্য সম্মানেরও।”
অনেক রাজনৈতিক ঝড় পেরিয়ে ট্যান এমন মন্তব্য করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিজসেন ইনসাইডার।
চীনের সঙ্গে পুরানো সম্পর্কের কারণে ট্যানের ওপর সন্দেহ ও তার সমালোচনা করে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশাল’-এ বৃহস্পতিবার ট্যানের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এরও দুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন ট্যানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, আগে চীনা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন ট্যান এবং ‘কেডেন্স ডিজাইন সিস্টেমস’ নামের যে কোম্পানিতে ট্যান কাজ করতেন সেটি চীনের নিষিদ্ধ এক সামরিক ইউনিভার্সিটি’র কাছে অবৈধভাবে প্রযুক্তি বিক্রির দায় স্বীকার করেছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ট্যান বলেছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি এবং ‘সবসময় আইন ও নীতিমালা মেনেই কাজ করেছেন’।
ইমেইল বার্তায় ইনটেলকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও বর্ণনা করেছেন ট্যান।
তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে আমেরিকায় উন্নত সেমিকন্ডাক্টর বেশি পরিমাণে তৈরির পথে এগোচ্ছে কোম্পানিটি, যা তাদের কর্মীদের কঠোর ‘পরিশ্রমেরই ফল’।
তিনি আরও বলেছেন, ‘সবাই যেন সঠিক তথ্য জানতে পান’ এজন্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মিলেই কাজ করছে ইনটেল।
বৃহস্পতিবার ইনটেলের শেয়ারের দাম কমেছে তিন শতাংশেরও বেশি।
এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ট্রাম্পের এমন পদত্যাগের দাবিতে যদি ইনটেল চুপ থাকত তবে তা কোম্পানির জন্য ‘সম্ভাব্য ভয়াবহ’ হতে পারত।
ইমেইলের শেষে ট্যান বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট। আমি গর্বিত যে, আপনাদের সঙ্গে এ পথেই রয়েছি আমি।”