রাজনীতি
24 Bangladesh
২২ জুলাই, ২০২৫ | 9:47 AM
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে হতাহত শিক্ষার্থীদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির আয়োজিত এই বিশেষ দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দলের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় ভোরে। নেতাকর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করেছে। সোমবার (২১ জুলাই) অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শোক প্রস্বাত গৃহীত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে কার্যালয়ের সামনে আহতদের জন্য রক্তদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। যুব দলসহ দলের নেতা-কর্মীরা রক্ত দিচ্ছেন আহতদের জন্য।
বিশেষ দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিহত শিক্ষাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘‘সবাই আমরা শোকাহত, এই সান্ত্বনার কোনও ভাষা নাই। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। মৃত্যু মনে হয় ২৭ ছাড়িয়েছে। যারা বেঁচে থাকবে তারাও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে না। এই শিশুরা মরে গেলো, ওদের মা-বাবার চোখের জল কী দিয়ে পূরণ করবো?’’
‘জনবসতিপূর্ণ শহরে বিমান প্রশিক্ষণ কেন?’
গয়েশ্বর বলেন, ‘‘আমার প্রশ্ন হলো— একটা প্রশিক্ষণ বিমান তাও ফাইটার বিমানের প্রশিক্ষণ, এমন একটা জনবসতিপূর্ণ শহরে হয় কিনা। আমরা জানি, এই ধরনের প্রশিক্ষণ যেখানে জনগণ থাকে না, এরকম অনেক জায়গায় থাকে, সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ প্রায় এমনই ঢাকা শহরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হলো কেন?”
‘‘স্বাভাবিকভাবে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে বিমান বাহিনীর এই সম্পর্কে তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা দরকার এবং এটার জবাব কে দেবে? এটা আপনি কী জবাব দেবেন? আমাদের দেশে বছর বছর যুদ্ধ না হোক সেনাবাহিনীর এক মহড়া হয়, সেটাও আমরা জানি অনেক দূরাঞ্চলে হয়...জনাকীর্ণ এলাকায় হয় না।”
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘‘আজকে দেখবেন ঢাকা শহরে দিনের বেলায় কোনও প্রশিক্ষণ মোটর যান দেখবেন না। এগুলো এখন রাতের বেলায় হয়, তাও প্রধান সড়কে নয়। অর্থাৎ শহরের ভেতরে ছোট ছোট রাস্তায় গাড়ি চালনার প্রশিক্ষণ হয়। এটা সাবধানতা।”
‘‘আর একটা বিমানের প্রশিক্ষণ হবে, সেই প্রশিক্ষণটা… আরেকটা কথা আছে, সেই প্রশিক্ষণটা প্রত্যেকটা যুদ্ধ বিমানই হোক বিমানটা স্টার্ট করার আগে তার পরীক্ষা করাতে হয়, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে যে, ওই বিমানটা ওড়ানো যাবে কিনা এবং এটা সঠিকভাবে চালানো যাবে কিনা, তার একটা পূর্ব পরীক্ষার ব্যাপার আছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই প্রশিক্ষণ যারা দিচ্ছেন বা তদারকি করছেন, তারা বিমানটা সচল থাকার মতো যান্ত্রিক অবস্থা ছিল কিনা, সেটা পরীক্ষা করা হচ্ছে কিনা… এই বিষয়গুলো বা এই প্রশ্নগুলো আজকে জনগণের মনে উঠেছে।”