জাতীয়
24 Bangladesh
৯ আগস্ট, ২০২৫ | 11:07 AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দেশের তেমন কোনও পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে আহত, নিহত ও নিখোঁজদের পূর্ণ তালিকা ও পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এতে সমন্বয়হীনতাও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর: দায়িত্ব ও ভূমিকা পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে গত এক বছরে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পর্যালোচনা করেন বক্তারা। এতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে এক-এগারোর প্রেক্ষাপট উল্লেখ করা হয়েছে। এটা ভালো কথা। তবে সে সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা কী ছিল, সেটি ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ তখন তাকে অনেক তৎপর দেখা গেছে। তিনি নিজেও নাগরিক শক্তি নামে একটি রাজনৈতিক দল খুলতে চেয়েছিলেন। পরে নানা কারণে এ ক্ষেত্রে আর এগোননি।
তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সরকারকে পক্ষপাতহীন হতে হবে। না হলে নির্বাচন নিয়ে নতুন বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই সরকারকে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে মাজার, ভাস্কর্য ভাঙচুর ও হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে সন্তোষজনক অগ্রগতি নেই। সরকারের কোনও কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তি এটিকে সাফাই গেয়েছেন। বলছেন, এটি নাকি পেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করছে। অথচ পেসার গ্রুপে কাজ হওয়ার কথা দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। আর মব সৃষ্টিকারীরা জাতিগত, ধর্মীয় সংখ্যা লঘু ও নারী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড করছে।