লাইফস্টাইল
24 Bangladesh
২১ জুলাই, ২০২৫ | 12:03 PM
যারা প্রায়ই বিমানে ভ্রমণ করেন তাঁরা হয়তো একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন– যে কোনও দেশ থেকে আসা বিমান, তা সে আকারে ছোট হোক বা বড়, সেগুলির রঙ সাধারণত সাদা হয়। এটা কি কেবল দেখতে সুন্দর বলেই, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে? সাদা রঙের ব্যবহারের পিছনে নির্দিষ্ট কারণ আছে। যদি কখনও ভেবে থাকেন যে বিমানকে উজ্জ্বল বা পছন্দের যে কোনও রঙে রঙ করা যায়, তাহলে আপনার অবশ্যই আজকের এই প্রতিবেদনটি পড়া উচিত।
বিমানগুলি বেশ সংবেদনশীল হয় এবং সামান্য অবহেলাও ঘোরতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। বিমানে যে কোনও ক্ষতি বা গর্ত দ্রুত মেরামত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই বিমানগুলিকে সাদা রঙ করা হয়। সাদা এমন একটি রঙ যার উপর যে কোনও ধরণের ত্রুটি সহজেই লক্ষণীয়। এই কারণেই বেশিরভাগ বিমান সংস্থা তাদের বিমানগুলিকে সাদা রঙ করতে পছন্দ করে।
এছাড়াও, সাদা রঙ অন্যান্য রঙের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকরভাবে সূর্যালোক প্রতিফলিত করে। এটি বিমানের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। বলা হয় যে উড়ানের সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাদা রঙ তাপ শোষণ করে না। যার ফলে বিমানের আভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা যথেষ্ট কম রাখতে সুবিধা হয়।
সাদা রঙের বিমান আকাশে সহজেই ট্র্যাক করা যায়। সকল রঙের মধ্যে, সাদা রঙ আকাশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান। নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকেও, এই রঙটি উপকারী- এটি বিমানের যে কোনও ত্রুটি সহজেই শনাক্ত করতে এবং মেরামত করতে সহায়তা করে।
তাছাড়া, সাদা রঙ এমন একটি রঙ যা সহজেই চোখে পড়ে—এমনকি অন্ধকারেও। আরও একটি সুবিধা হল এটি দ্রুত বিবর্ণ হয় না। সাদা রঙকে সবচেয়ে হালকা রঙ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বলা হয় যে, গাঢ় রঙে একটি বিমান রঙ করলে ৮ জন যাত্রীর ওজনের সমান ওজন হতে পারে, কারণ গাঢ় রঙ বেশি ভারী।
এ ছাড়াও বিমানের বিশেষ কিছু নিয়ম আমাদের সাধারণ ধারণার বাইরে। উড়ান বা অবতরণের সময় কেন আমাদের ল্যাপটপ বন্ধ করতে হয়, কিন্তু ট্যাবলেট খোলা রাখা যায়? কেন আমাদের ফোনগুলিকে এরোপ্লেন মোডে রাখতে হয় এবং যদি আমরা তা না করি তবে কী হবে? কেন আমাদের বিমানের গতি যখন ৫ মাইল প্রতি ঘন্টায় তখন সিটবেল্ট পরতে হয়, কিন্তু ৫০০ মাইল প্রতি ঘন্টায় বাতাসে ওড়ার সময় পড়তে হয় না? এখানে আরও একটি নিয়ম আছে যা মনে হতে পারে কোনও মাথামুণ্ডু নেই। কিন্তু অন্যান্য অনেক নিয়মের মতো এর নেপথ্যেও সঙ্গত যুক্তি রয়েছে। যদি বাইরে অন্ধকার থাকা অবস্থায় কোনও বিমান উড়ান বা অবতরণ করে, তাহলে বিমানের কেবিনের আলো অবশ্যই নিভিয়ে দিতে হবে।
যখন কেবিনের ভিতরে আলো কম থাকে, তখন আলোকিত জরুরি বহির্গমন চিহ্নগুলি সহজেই দেখা যায়। দ্বিতীয়ত, টেকঅফ এবং অবতরণের সময় (নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিমানের যে পর্যায়গুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ), যাত্রীদের তাঁদের চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবিনের আলো কম থাকলে এতে সাহায্য করে।
সূত্রঃ আজকাল