তথ্যপ্রযুক্তি
24 Bangladesh
১৮ জুলাই, ২০২৫ | 12:49 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই গবেষণা বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারের বড় পদক্ষেপের সূচনা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার’ চালু করেছে যুক্তরাজ্য।
এআইতে শত কোটি পাউন্ড বিনিয়োগের অংশ হিসাবে যুক্তরাজ্য সরকার ‘ইজামবার্ড-এআই’ নামের শক্তিশালী সুপারকম্পিউটার অনলাইনে আনল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
বৃহস্পতিবার ব্রিস্টলে ‘ইজামবার্ড-এআই’ সুপারকম্পিউটারটি চালু করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রযুক্তি সচিব পিটার কাইল। দেশটির মন্ত্রীরা বলেছেন, যুক্তরাজ্যকে নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার ও দূষণ কমানোর নতুন প্রযুক্তি তৈরিতে সাহায্য করবে সরকারের এমন পদক্ষেপ।
ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রিটেনের কম্পিউটার সক্ষমতা ২০ গুণ বাড়াতে একশ কোটি পাউন্ড ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক এআই ‘গ্রোথ জোন’ বা উন্নয়ন অঞ্চল গঠন, যেখানে নতুন ডেটা সেন্টার তৈরির অনুমোদন দ্রুত দেওয়া হবে। এর একটি হবে স্কটল্যান্ডে, যেখানের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস নিশ্চিত করেছেন, এডিনবরায় আরেকটি সুপারকম্পিউটার তৈরির জন্য ৭৫ কোটি পাউন্ড বরাদ্দ করা হবে। এ ছাড়াও ওয়েলসেও নতুন এক সুপারকম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সরকারের ভাষ্যমতে, কেমব্রিজে থাকা একটি সুপারকম্পিউটারের পাশাপাশি ‘ইজামবার্ড-এআই’ এত দ্রুত কাজ করতে পারে যে, ‘পুরো পৃথিবীর মানুষ একসঙ্গে মিলে যা ৮০ বছরে করতে পারত’ সেটি এই মেশিন কেবল এক সেকেন্ডেই করতে পারবে।
বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ীরা এ ধরনের সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে এআই মডেল তৈরির জন্য বিশাল পরিমাণ তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবেন, যার মাধ্যমে নতুন ওষুধ আবিষ্কার ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রযুক্তিতে বড় অগ্রগতি সম্ভব হবে দাবি সরকারের।
এরইমধ্যে ‘ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুল’-এর গবেষকরা এ মেশিন ব্যবহার করে কোটি কোটি রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ করছেন, যাতে ব্রিটেনের শিল্প খাত কীভাবে কার্বনমুক্ত করা যায় তার উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
এসব উদ্যোগ যুক্তরাজ্যের নতুন ‘কম্পিউট রোডম্যাপ’-এর অংশ, যা বিদেশি প্রসেসিং সক্ষমতার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশের নিজস্ব কম্পিউটিং শক্তি বাড়ানোর এক কৌশল।
যুক্তরাজ্যর সরকার আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির এআই-সংক্রান্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা চারশ ২০ এক্সাফ্লপ-এ পৌঁছাবে। যার মানে একশো কোটি মানুষ একসঙ্গে মিলে যা করতে ১৩ হাজার বছরেরও বেশি সময় নিত তা করতে এই সিস্টেম কেবল এক সেকেন্ড সময় নেবে।