ধর্ম
24 Bangladesh
১৭ জুলাই, ২০২৫ | 11:11 AM
আল্লাহর কাছে মোনাজাত বা দোয়া করার সময় হাত ওঠানো জরুরি নয়। হাত না উঠিয়েও দোয়া করা যায়। হাত না উঠিয়েও আল্লাহর কাছে নিজের যে কোনো প্রয়োজন তুলে ধরা যায় বা ক্ষমা প্রার্থনা করা যায়। তবে নামাজের বাইরে দোয়া করার সময় হাত ওঠানো মুস্তাহাব
বেশ কিছু হাদিসে দোয়ার সময় হাত ওঠানোর কথা এসেছে।সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, তোমাদের রব অত্যন্ত লজ্জাশীল ও দয়ালু। বান্দা যখন তাঁর কাছে কিছু চেয়ে হাত ওঠায় তখন তার হাত খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (সুনানে তিরমিজি)
মোনাজাতের শুরুতে যা পড়বেন
মোনাজাতের শুরুতে হামদ ও দরুদ পড়া অর্থাৎ আল্লাহর প্রশংসা করা ও নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রতি দরুদ পাঠ করা সুন্নত। তাই যে কোনো দোয়া করার সময় শুরুতেই হামদ ও দরুদ পাঠ করুন এভাবে, ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু আলা সাইয়িদিল মুরসালিন ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাহবিহি আজমাইন।’ অর্থাৎ সকল প্রশংসা জগৎসমূহের রব আল্লাহর। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক নবিদের সর্দারের ওপর এবং তার পরিবার-পরিজন ও সাহাবিদের ওপর।
ফুযালা ইবনে ওবাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে নামাজে দোয়া করতে শুনলেন, সে আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা করেনি এবং নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দরুদও পাঠ করেনি। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই ব্যক্তি তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে, তারপর তিনি তাকে ডাকলেন এবং তাকে ও অন্যদেরও বললেন, আপনারা কেউ যখন নামাজ পড়বেন, তখন শুরু করবেন রবের প্রশংসা ও গুণাবলী বর্ণনার মাধ্যমে, তারপর নবির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি দরুদ পাঠ করবেন, তারপর যা ইচ্ছা দোয়া করবেন। (মুসনাদে আহমদ)