বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / July 17, 2025
Logo
আজকের শিরোনাম:

স্বাস্থ্য

কর্মসূচি শিথিল মিটফোর্ড শিক্ষার্থীদের, কর্মবিরতি চলবে ইন্টার্নদের

Picture of the author

24 Bangladesh

১৫ জুলাই, ২০২৫ | 9:06 AM

Picture of the author

চাঁদাবাজ ও বহিরাগতমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল নিশ্চিত করার দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।


সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পৃথক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

প্রথমে হাসপাতালের ভেতরে মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকরা একযোগে মিছিল নিয়ে হাসপাতাল গেটের বাইরেও প্রদক্ষিণ করেন। মিছিল ঘুরে ফেরার পর একটি প্রতিনিধিদল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এসময় প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে আংশিক দাবি পূরণের অগ্রগতি স্বীকার করা হলেও বাকি দাবিগুলোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ কিছু সময় চেয়ে নেন এবং বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে আশ্বাস দেন।



পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জরুরি আলোচনায় বসেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা আগামী সাত দিনের মধ্যে বাকি দাবিগুলো পূরণ হওয়ার শর্তে আপাতত চলমান কর্মসূচি শিথিল করার ঘোষণা দেন।

হাসিব নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করছি বলেই আন্দোলন শিথিল করেছি। কিন্তু দাবি আদায় না হলে আমরা আবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব।


অন্যদিকে ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটি (আইডিএস)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৪ ও ১৫ জুলাই এই দুই দিন কর্মবিরতিতে থাকবেন।

ওই হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির (আইডিএস) সভাপতি ডা. ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে এখনো আমরা সন্তুষ্ট নই। রোগীদের কথা বিবেচনায় জরুরি সেবা চালু রেখেছি, তবে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা ছাড়া পূর্ণ ডিউটিতে ফেরা সম্ভব নয়। নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।


প্রসঙ্গত, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের দৌরাত্ম্য, চাঁদাবাজি, হুমকি ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা গত ১১ জুলাই থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাদের তিন দফা মূল দাবি হলো- বহিরাগতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত ও স্থায়ী সমাধান পরিকল্পনা দেওয়া।




    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ