সারাদেশ
24 Bangladesh
১৯ জুলাই, ২০২৫ | 1:31 PM
পঞ্চগড়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা) মো. আসিফ আলী জিভালের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারধর, মানসিক নির্যাতন এবং পরনারীতে আসক্তির অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী দেওয়ান স্বীকৃতি রহমান ওরফে চৈতী।
এ ঘটনায় তিনি ঢাকা সিএমএম আদালত ও যশোরে পৃথক মামলা করেছেন। তার স্বামী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেখিয়ে তাকে হেনস্থা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন বলে চৈতী জানান।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফ আলী জিভাল তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি যেহেতু মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে, সে কারণে আদালতেই এর সুরাহা হবে।
চৈতীর অভিযোগ, যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোড এলাকার দেওয়ান মিজানুর রহমানের মেয়ে দেওয়ান স্বীকৃতি রহমান ওরফে চৈতী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। অপরদিকে, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন সোনাডাঙ্গা ফেজ-২ এর (রোড নম্বর ৫, হোল্ডিং নম্বর ৫৮) বাসিন্দা নওয়াব আলীর ছেলে আসিফ আলী জিভালও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। পূর্বের জানা শোনা থেকে পরিচয় ও অন্তরঙ্গতার একপর্যায়ে ২০২৪ সালের ১৬ মার্চ তারা ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন।
জানা গেছে, জিভাল ও চৈতীর এর আগে বিয়ে হয়েছিল এবং উভয়েই তালাকপ্রাপ্ত হয়ে এই বিয়ে করেন। চৈতীর প্রথমপক্ষে একটি মেয়ে রয়েছে। যা দুইজনেই তাদের অ্যাফিডেভিটে উল্লেখ করেছেন।
চৈতীর অভিযোগ, বিয়ের পর সুখে-শান্তিতেই তাদের সংসার শুরু হয়। এক মাস যেতে না যেতেই জিভাল ওই বছরের ১৯ এপ্রিল একটি গাড়ি কেনার জন্যে তার কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবি করেন। কাঙ্ক্ষিত টাকা দিতে না পারায় জিভাল তাকে শারীরিকভাবে আঘাত (চড়-থাপ্পড়সহ লাঠি দিয়ে বাড়ি) এবং মানসিকভাবেও অত্যাচার করেন। পরদিন তিনি শ্বশুরবাড়ি থেকে যশোরে বাবার বাড়ি চলে যান এবং হাসপাতাল ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
তিনি জানান, সংসার টিকিয়ে রাখতে দুই পক্ষের আপোস-মীমাংসার পর তিনি ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। এরপর ১৫ নভেম্বর তিনি বাবারবাড়ি বেড়াতে এলে জিভালও আসেন। যশোরে এসেও তিনি গাড়ি কেনার সেই ২৫ লাখ টাকার জন্যে ফের চাপ দিতে থাকেন। পরিবারের অর্থনৈতিক দৈন্যতার কথা জানিয়ে ওই টাকা দিতে পারবে না জানালে জিভাল এখানেও তাকে মারধর করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে মেঝেতে ফেলে চড়, লাথি মারতে থাকেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ফোলে যায় এবং ঠোঁট কেটে যায়। তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। হাসপাতালের রেজি নম্বর ৭৬৪৭৫/১৪৮।
যৌতুকের দাবিতে মারপিটের অভিযোগে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন তিনি।