জাতীয়
24 Bangladesh
১১ জুলাই, ২০২৫ | 7:33 AM
‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র
পরিষদ (পিসিসিপি)।
শুক্রবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পিসিসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের অন্য ৩টি দাবি হচ্ছে— কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৬ জন সদস্য মনোনয়নের বিধান বাতিল করতে হবে; উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে।
পিসিসিপি'র সভাপতি মো. শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পাহাড়ি-বাঙালির আশাবাদ থাকলেও, কিছু উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয়ের নেওয়া বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এই প্রত্যাশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তিনি বলেন, গত ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন অধ্যাদেশে ৬ সদস্যের পরিচালনা কমিটিতে সবাইকে কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সভাপতি রাসেল মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে আসছে উপজাতিয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন মহল ডাইভার সিটির নামে পাহাড়ের উন্নয়নে পর্যটন মুখি না করে জনশূন্য করে রাখতে চাচ্ছে। তারা শিল্প কারখানা হতে দিচ্ছে না যা হাজার হাজার বেকারত্ব দূর করবে। গুচ্ছগ্রামে ৩ বছর থাকার কথা বলে আজ ৩৫ বছর ধরে তাদের অবহেলায় লাঞ্ছনায় রাখা হয়েছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান প্রমুখ।