লাইফস্টাইল
24 Bangladesh
১৫ জুলাই, ২০২৫ | 11:33 AM
দিন দিন ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যদি কাছের কারো ক্যান্সার কথা জানতে পারেন, তখন পায়ের তলার মাটি কেঁপে উঠতে পারে। রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি ধৈর্য, ভালোবাসা এবং সবসময় কারো উপস্থিত থাকা সুস্থতার চেয়েও বেশি কিছু বোঝায়। ক্যান্সার কেবল শরীরকে প্রভাবিত করে না। এটি মানসিক স্বাস্থ্য আর আবেগকেও নাড়িয়ে দেয়।
রোগীকে সরাসরি রোগ সংক্রান্ত কথা বলার দরকার নেই। শুধু পাশে থাকার অনুভূতিই রোগীকে মানসিক পরিপক্কতা এবং স্থিতিস্থাপকতা দিতে পারে।
১. প্রতিশ্রুতি নয়, সাহায্য প্রদান:
'আমি যেকোনো সাহায্যের জন্য এখানে আছি' বলাটা অনেক সময় সান্ত্বনাদায়ক মনে হতে পারে। তার বদলে দৈননি্দন কাজে সাহায্য করতে চাইতে পারেন। অনেক সময় নিজে থেকেই ভারী এবং কঠিন কাজগুলো সেরে রাখতে পারেন। ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া রোগীদের নিয়ে করা এক গবেষণায় জানা গেছে- রোগীরা যখন অনুভব করেন, কেউ তাদের ভয় দূর হয়ে এক নতুন আশা জাগে।
২. স্বাভাবিকতার অনুভূতি বজায় রাখা:
রোগীকে যথা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনের অনুভূতি করাতে পারেন। যেমন: একসাথে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখা, অন্য কোনো ব্যাপার নিয়ে গল্প করা অথবা এক কাপ চা নিয়ে বসেও থাকতে পারেন। স্বাভাবিক জীবনের মুহূর্তগুলো ভালো থাকার ভিত্তি তৈরি করতে পারে।
৩. পেশাদার এবং পিয়ার নেটওয়ার্ক:
হাসপাতাল-ভিত্তিক সমাজকর্মী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত থেরাপিস্ট এবং স্থানীয় সারভাইভার গ্রুপ অনেক সময় রোগীদের বিশেষ সেবা প্রদান করেন। এমন সরঞ্জাম সরবরাহ করেন, যা পরিবারের সদস্যরা পারে না। এ ধরনের সভায় যাওয়া অথবা ভার্চুয়াল কাউন্সেলিং সেশন স্থাপন করার সুযোগ থাকলে রোগীকে সেখানে নিয়ে যান।
রোগ নির্ণয়:
ক্যান্সারের চিকিৎসা শারীরিক এবং মানসিক উভয়ভাবেই পুনরুদ্ধার একটি দীর্ঘ যাত্রা। চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে শেষ হরেও ডাক্তারের কাছে চেক ইন করানো চালিয়ে যান।
ক্যান্সার একেক জনের উপর একেকরকম প্রভাব ফেলে। এ রোগে আক্রান্ত হলে, সাহায্য করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বা নিখুঁত উপায় নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রোগির যত্ন, ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সহানুভূতি প্রকাশ। তাদের সাথে কোমল আচরণ করুন।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮