খেলা
24 Bangladesh
২৪ জুন, ২০২৫ | 6:53 AM
দুই দলের মধ্যে ব্যবধান গড়ে দেয়ার কাজটা তো করেছেন মেসি আজ প্রায় ৩১ বছর ধরেই। সেই ৬ বছর বয়সে যখন দাদির হাত ধরে এলাকার ফুটবলে পা লাগিয়েছেন। তখন থেকেই মেসি যেন ‘দ্য পয়েন্ট অব ডিফ্রেন্স।’ ছোট্ট একটা বাচ্চা ভীষণ অবলীলায় বল পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তার চেয়ে উঁচু উঁচু খেলোয়াড়দের পাশ কাটিয়ে– পয়েন্ট অব ডিফ্রেন্স তো সম্ভবত এভাবেই হয়।
কিংবা এই তো চলতি সপ্তাহের শুরুতেই। কনকাকাফ অঞ্চলের কোনো ক্লাব যা করতে পারেনি, সেটাই করেছেন লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। ইউরোপের কোনো ক্লাবকে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রথমবার হারায় উত্তর আমেরিকা মহাদেশের একটি ক্লাব। সেখানেও ছিল মেসির বাঁ পায়ের মাহাত্ম্য।
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন। আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরে খুব সাধারণ একও ঘরে জন্ম নেন লিওনেল আন্দ্রেস কুচিত্তেনি মেসি। পৃথিবতে পাঠানোর আগে তাকে দেয়া হলো ফুটবল খেলার জন্য ক্ষুরধার মস্তিষ্ক, একজোড়া অসাধারণ পা। আর সঙ্গে দেয়া হলো হরমোনাল কিছু জটিলতা।
মেসির এরপরের গল্পগুলো আপনার জানা। রোজারিও থেকে বার্সেলোনা, সেই ন্যাপকিনে লেখা প্রথম চুক্তি– বার্সেলোনার জাদুকরী সব রাত… চোখের সামনে দেখে আসা সব মুহূর্ত। তবু কেন যেন পড়তে গিয়ে ক্লান্ত হতে হয় না। খুব সাধারণ একজন মেসিকে সব বাধা পেরিয়ে অসাধারণ হতে দেখার মাহাত্ম্যটা বুঝি এমনই।
অপবাদ ছিল হেডে গোল করতে পারেননা, সেটা করেছেন ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। যে গোলটাকে মেসি নিজেই বলেছেন তার ক্যারিয়ারের সেরা গোল। অপবাদ ছিল ইংলিশ ক্লাবের বিরুদ্ধে মেসি নিষ্প্রভ। কিন্তু বর্তমান বলছে ইংলিশ ফুটবলের টপ সিক্স ক্লাবের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গোলদাতার একজন এই আর্জেন্টাইন।
সবচেয়ে বড় অপবাদ ছিল লিওনেল মেসি আর্জেন্টিনার না। বার্সেলোনার মেসি যতটা উজ্জ্বল, ততটা আলো ছড়ায়নি আর্জেন্টিনার জার্সিতে। অথচ ২০২৫ সালে এসে মেসিকে ক্লাবের জার্সিতে যত আপন লাগে, আর্জেন্টিনায় তারচেয়ে বেশি মোহনীয় মনে হয়।