Logo
শনিবার, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 2, 2025
শনিবার, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ / August 2, 2025
আজকের শিরোনাম:

জাতীয়

‘সমন্বয়ক’ রিয়াদের বাসা থেকে আড়াই কোটির চেক-এফডিআর উদ্ধার

Picture of the author

24 Bangladesh

৩০ জুলাই, ২০২৫ | 7:20 AM

Picture of the author

গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে ডিএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।


ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে চেকগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে কলাবাগান থানায় নতুন একটি মামলা রুজু হচ্ছে।


জানা গেছে, সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত পুলিশ তার বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার একটি চেক পাওয়া যায়, যা আগামী মাসের ২ তারিখে ক্যাশ হওয়ার কথা ছিল। 

এক ব্যবসায়ীর জমি উদ্ধারের বিষয়ে রিয়াদের সঙ্গে ৫ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির আওতায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার লেনদেনের অংশ হিসেবেই ওই চেকটি ছিল।


এছাড়া, রিয়াদের ঘর থেকে অন্তত ১০টি এফডিআরের কাগজ পাওয়া গেছে, যেগুলোর প্রতিটিতে সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকা করে জমা রয়েছে। পাশাপাশি রিয়াদের একটি বেসরকারি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত কয়েক মাসে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার লেনদেনের প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।

২৬ জুলাই সন্ধ্যায় গুলশান-২-এর ৮৩ নম্বর রোডের বাসায় চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে পাঁচজন। তারা হলেন—মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১), মো. আমিনুল ইসলাম (১৩), ইব্রাহীম হোসেন (২৪) এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫)।

রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা এবং ঢাকার ধানমন্ডির নিউ মডেল এলাকায় বসবাস করেন। ইব্রাহীম চাঁদপুরের রামদাসদী গ্রামের এবং আমিনুল ঢাকার বাড্ডার আলাতুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ইব্রাহীম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ছিলেন।

ঘটনার পরপরই সংগঠন থেকে তিনজনকে বহিষ্কার করা হয় এবং কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

ঘটনার পর দায়ের হওয়া মামলায় গুলশান থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন—আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু নামের একজন শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হুমকি দেয়া হয় এবং ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তারা। পরে ২৬ জুলাই আবার এসে বাকি ৪০ লাখ টাকা দাবি করলে পুলিশ গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

ঘটনার পর ২৭ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি রিফাত রশিদ জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো ছাত্র সংগঠন কোনো অপরাধের দায় স্বীকার করে কেন্দ্র ছাড়া সারাদেশের সব কমিটি স্থগিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের শেল্টারে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, বৈছাআর ব্যানার ব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।’





    জনপ্রিয়

    সর্বশেষ