খেলা
24 Bangladesh
৬ আগস্ট, ২০২৫ | 7:53 AM
মিয়ানমারে সাফল্যের যে গল্প লিখেছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমারা, লাওসে একই স্বপ্ন আফঈদা খন্দকার-স্বপ্না রানীদের। তবে ২০ না পেরোনো বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য এবারের মিশনটা অনেক কঠিন। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে পিটার বাটলারের দলকে লড়তে হবে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। এর আগে আজ তাদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে লাওসের বিপক্ষে। ভিয়েন্তিয়ানের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
বাংলাদেশের এই দলে জাতীয় দলের ৯ ফুটবলার রয়েছেন। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, সাগরিকারা বাংলাদেশকে উঠিয়েছিলেন মেয়েদের এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে; যে আসরটি আগামী বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। এবার তাদের অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপে ওঠার চ্যালেঞ্জ। গ্রুপ এইচে লাওস, কোরিয়া ও পূর্ব তিমুরের মতো দল থাকায় মূল পর্বে খেলার স্বপ্নটা জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না মেয়েদের কণ্ঠে। আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং সেরা তিন রানার্সআপ দল ২০২৬ সালের এপ্রিলে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। গ্রুপে বাংলাদেশের সেরা হওয়াটা বেশ কঠিন বলে আবার মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ কোচ।
তবে এই প্রতিযোগিতায় তাঁর দল প্রভাব ফেলতে চায় বলে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানান ব্রিটিশ এ কোচ, ‘আমরা এমনভাবে খেলতে চাই যাতে একটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারি। ম্যাচ জেতার চেয়ে কোনো কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা দলকে গোছানোর জন্য ইনভেস্টমেন্ট থেকে শুরু করে অনেক কিছুই দরকার। আর তার প্রতিফলন দেখা যায় মাঠে। মিয়ানমারে সিনিয়র জাতীয় দলের এএফসি কাপে কোয়ালিফাই করাটা আমাদের জন্য রিস্টার্ট। এই টুর্নামেন্টটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের দেখাতে হবে অবস্থানটা আসলে কী এবং আমরা কোথায় আছি।’
যার নেতৃত্বে সিনিয়র দল এশিয়ান কাপে খেলার টিকিট কেটেছে, সেই আফঈদার অধিনায়কত্বে সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। লড়াইয়ের আগে না হারার মানসিকতা ফুটে উঠেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আমরা এখানে এসেছি এএফসি কাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। আমরা চেষ্টা করব, প্রতিটি ম্যাচে যেন ভালো খেলতে পারি।’
আফঈদার কথাতেই স্পষ্ট তারা তৈরি হয়েই লাওসে গিয়েছেন। লাওসের সঙ্গে বয়সভিত্তিক এই পর্যায় দূরের কথা, সিনিয়ররাও কখনও মুখোমুখি হননি। তাই প্রতিপক্ষ হিসেবে লাওস অনেকটা অজানা বলা যায়। এজন্য স্বাগতিকদের নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ জিতলে মূল পর্বে ওঠার পথটা যে সহজ হয়ে যাবে, তা ভালো করেই জানা লাল-সবুজের মেয়েদের। তাই প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখছে না তারা। আক্রমণ ও রক্ষণভাগ নিয়ে আলাদা কাজ করা হয়েছে। প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডদের রুখে দেওয়া, পজিশনিং, দ্রুত কাউন্টার– সবকিছুতে নিজেদের তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
লাওসের বিপক্ষে নিজেদের উজাড় করে দিতে চান আফঈদারা, ‘যে কোনো প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। কালকে (বুধবার) আমাদের লাওসের বিপক্ষে ম্যাচ। আমরা যেন ম্যাচটি জিততে পারি, সেই চেষ্টা করব।’