এক্সক্লুসিভ
24 Bangladesh
৯ জুলাই, ২০২৫ | 9:02 AM
সাম্প্রতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকা আরও শতাধিক কর্মকর্তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
আজ বুধবার আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে চেয়ারম্যানের দপ্তরে পৃথকভাবে দুই দফায় চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ করে ক্ষমা চান তারা এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। এরা সবাই বিসিএস আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা, যারা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবারও আয়কর ক্যাডারের প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে একইভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টার দিকে আয়কর ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ৫০ কর্মকর্তা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর সোয়া ৯টার দিকে কাস্টমস ও ভ্যাট ক্যাডারের প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা দেখা করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
এ সময় তারা আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়, দেশ ও অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে-তা স্বীকার করেন এবং দুৎখ প্রকাশ করেন। তারা সরকারের নির্দেশনা মানা ও রাজস্ব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কাজ করবেন বলেও চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে জানান, কর্মকর্তারা দেখা করতে গেলে চেয়ারম্যান তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছেন, তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু যারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, রাষ্ট্র তাদের ক্ষমা করবে কিনা তা তিনি জানেন না। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নের অক্সিজেন রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রায় দুই মাসের আন্দোলনের ইতি টেনে গত ২৯ জুন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। ৩০ জুন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান নিজ দপ্তরে ফিরে আসেন। ওইদিন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে সব কিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে এনবিআরকে আর এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না।
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ সংশোধন ও এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ চার দাবিতে ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে শুরুর দিকে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ সংশোধনসহ কয়েকটি দাবিতে তারা সোচ্চার থাকলেও শেষ পর্যায়ে এসে ‘চেয়ারম্যানের অপসারণের’ এক দফা দাবিতে তীব্র আন্দোলন শুরু করেন তারা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আন্দোলনে অনড় থাকলে সরকার কঠোর হতে শুরু করে।