খেলা
24 Bangladesh
১৫ জুলাই, ২০২৫ | 8:21 AM
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হতেই আচমকা ফরম্যাটটিতে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নতুন করে বিসিবিও এখনও লাল বলের অধিনায়ক ঘোষণা করেনি। এর আগে বাকি দুই ফরম্যাটে সম্প্রতি নতুন অধিনায়ক পেয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টে টাইগারদের পরবর্তী অধিনায়ক কে হবেন সেই জল্পনার মাঝে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তাইজুল বলেন, ‘আমার মতে অধিনায়ককে জায়গাটা ছেড়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং তার বলা কথা সেভাবে মূল্যায়ন করা উচিৎ। কারণ অধিনায়কের ওপর যখন আমরা ভরসা করে খেলি তখনই দল ভালো করে। (অধিনায়কের প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে) আমার অভিজ্ঞতা আছে, এমন কোনো অপশন নেই যা আমার ভেতর অনুপস্থিত। মনে হয় না দলের প্রয়োজনে এমন কিছু আছে যা আমি করতে পারব না। তবে বিষয়টি এমন নয় যে আমি (টেস্টের নেতৃত্ব) এর জন্য প্রলুব্ধ।’
অধিনায়ক ঘোষণার বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টের হাতেই ছেড়েছেন তাইজুল, ‘টেস্টের অধিনায়কত্ব কোনো আকর্ষণীয় কিছু নয়। আমার মতে অধিনায়কের একটি দৃষ্টিভঙ্গি থাকে তিনি দলকে কোন অবস্থানে দেখতে চান। আমি কেমন দল চাই এবং দুই বছর পর দলকে কোথায় দেখতে চাই সেই লক্ষ্যটা ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়গুলো টিম ম্যানেজমেন্ট ও অফিসিয়াল ব্যক্তিদের ভাবতে হবে এবং তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি (নেতৃত্বের) সুযোগ আসে তবে কেন নয়?’
পরিসংখ্যান বলছে, টেস্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক শান্ত। ১৪ টেস্টে চার জয়, এক ড্র ও নয় হারে তার সাফল্য ২৮.৫৭ শতাংশ। তার পরই অবস্থান সাকিব আল হাসানের। ১৯ টেস্টে তার অধীনে বাংলাদেশ চার জয় ও ১৫টিতে হেরেছে। সাফল্যের হার ২১.০৫ শতাংশ। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ২০.৫৮ শতাংশ ম্যাচে জিতেছেন (৩৪ টেস্টে সাত জয়, নয় ড্র ও ১৮ হার)।
কিছুদিন আগে ওয়ানডেতে শান্তকে সরিয়ে নেতৃত্বভার মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে তুলে দেয় বিসিবি। টেস্টেও মিরাজই তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। তবে বিসিবি তিন ফরম্যাটে ভিন্ন তিনজনকে দায়িত্বে দেওয়ার পথে হাঁটতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে নিয়মিত ও ধারাবাহিক ক্রিকেটারদের একজন তাইজুল। ফলে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকেও অধিনায়কত্বের জন্য অপশন হিসেবে পাচ্ছে বিসিবি।
এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু বাস্তবতাও সামনে এনেছেন তাইজুল, ‘এখানে কিছু বিষয় জড়িত। আমার মতে বয়স একটা বিষয়। এই বয়সে আপনি পিচের যেখানে ইচ্ছা বল ফেলতে পারেন। আবার অভিজ্ঞতাও একটা বিষয়। ২০২১ সালের আগে দেশের বাইরে আমি খুব একটা টেস্ট খেলার সুযোগ পেতাম না। অভিজ্ঞতার মূল্য আছে, আমি দেশে ও বাইরে কতটা টেস্ট খেলেছি এটাও দেখার বিষয়। যখন অভিজ্ঞতা পূর্ণ থাকবে, তখন পারফরম্যান্সও সেভাবে আসবে। নতুন কারও দলে সুযোগ পেয়েই পারফর্ম করাটা কঠিন। তাই তাদের সময় দিতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সময় পেয়েছি এবং দিন দিন উন্নতিও করছি।’