সারাদেশ
24 Bangladesh
২৩ জুন, ২০২৫ | 10:40 AM
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে কাঁচা ও পাকা আম এবং আম থেকে প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্যের বাজারজাত ও রপ্তানি মিলিয়ে সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আমচাষিদের দাবি, প্রক্রিয়াজাত পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ এবং রপ্তানি বাড়াতে পারলে এই অর্থনীতির পরিসর আরও বাড়বে।
বর্তমান সময়ে আমের ভরা মৌসুম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, রহনপুর, ভোলাহাট ও পুরতান আম বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাবসায়ীরা আসছেন। এই বাজারগুলো থেকে আম ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা। আর এই আমকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাগঞ্জের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আম চাষি ইসহাক আলী বলেন, ঈদুল আজহার টানা ছুটি ও অতিরিক্ত গরমের কারণে একসঙ্গে কয়েকজাতের আম পেকে যাওয়ার জন্য প্রথমদিকে আমের দাম কিছুটা কম ছিল। তবে এখন আবারও বাজার চাঙা হয়েছে এবং আমের দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
আরেক আম চাষি বিল্লাল আলী বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। মৌসুমের প্রথম দিকে আমের দাম ভালো না পেলেও এখন দাম ভালো আছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, কাঁচা ও পাকা আম কেনাবেচার পাশাপাাশি যদি আম প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানো যায় তাহলে এই আমের বাজারের মূল্য আরও বাড়বে। বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত করণ আমের বাজারের মূল্য ৫০০ কোটি টাকা হলেও সরকার চাইলে এই প্রক্রিয়াজাত করণ বৃদ্ধি করে তা প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যেতে পারবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, এ বছর প্রায় ৪ লাখ মে. টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর আম উৎপাদনের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছি। এ ছাড়া এ বছর প্রায় ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত ইউরোপ ও মধ্যপাচ্যে ৭০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়েছে এবং এ জেলা থেকে প্রায় ৬ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানিযোগ্য আম প্রস্তুত আছে।
প্রসঙ্গত, কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার টন।