প্রবাস
24 Bangladesh
৪ আগস্ট, ২০২৫ | 11:40 AM
বিগ টিকেট লটারির সর্বশেষ ড্রতে ২ কোটি দিরহামের জ্যাকপট জিতে নিয়েছেন দেড় যুগ ধরে দুবাইয়ে থাকা বাংলাদেশি এক দর্জি।২ কোটি দিরহাম, মানে বাংলাদেশি মুদ্রায় পুরস্কামূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা।
প্রথমবার টিকেট কিনেই লটারিতে এমন বাজিমাত করেছেন সবুজ মিয়া আমির হোসেন দেওয়ান। তিনি গত ১৮ বছর ধরে দুবাইয়ে প্রবাসী। দর্জিগিরির সীমিত আয় দিয়ে বাংলাদেশে থাকা পরিবারকে টানতে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি।
নিজের জীবনের কথা শেয়ার করে নতুন এ কোটিপতি খালিজ টাইমসকে বলেন, “এটাই প্রথমবার আমি টিকেট কিনেছি, নিজের জন্যই কিনেছি। আশপাশের বন্ধুবান্ধব থেকে প্রায়ই বিগ টিকেটের কথা শুনতাম। তাই ভাবলাম, একটা সুযোগ নিয়েই দেখি না কেন? এরপর আবু ধাবি গেলাম এবং সেখানকার দোকান থেকে টিকেটটা কিনলাম।”
জ্যাকপট জেতার খবরে হতবিহ্বল হয়ে পড়া এ বাংলাদেশি বলেন, “আমি একজন সামান্য দর্জি, অল্প আয়ে জীবন চালাই। আর সেই আমি এত টাকা জিতেছি, আমার মনের অবস্থা আপনি একবার কল্পনা করে দেখুন। এই জয় আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ পুরোপুরি বদলে দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।”
আপাতত ধাপে ধাপে এগুনোর চিন্তা তার।
“পুরস্কারের অর্থ কীভাবে খরচ করবো সে বিষয়ে আমি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি, আমাকে প্রথমে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমি হয়তো ভবিষ্যতে আবারও বিগ টিকেট লটারির টিকেট কেনার কথা চিন্তা করতে পারি, কিন্তু এখনকার হিসেবে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ ও সন্তুষ্ট,” বলেছেন ৩৬ বছর বয়সী এ প্রবাসী।
চলতি মাসের বিজয়ীদের মধ্যে কেবল সবুজই একমাত্র বাংলাদেশি নন। আছেন পারভেজ আনোয়ার হোসেন নামে ৪২ বছর বয়সী আরেক ব্যবসায়ীও, যিনি ২০০৯ সাল থেকে দুবাইয়ে প্রবাসজীবন কাটাচ্ছেন।
নিয়মিতই বিগ টিকেট লটারির টিকেট কেনা পারভেজের কপালও এবার খুলল। তিনি জিতেছেন একেবারে নতুন একটি রেঞ্জ রোভার ভেলার।
বছর চারেক ধরে পারভেজ এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি মাসে শারজাহ থেকে আবু ধাবি যেতেন এবং দোকান থেকে বিগ টিকেটের লটারি টিকেটে কিনতেন।
“আজ সেই আস্থার প্রতিদান মিলল, এর চেয়ে বেশি খুশি কী করে হতাম,” বলেছেন তিনি।
বিলাসবহুল এ গাড়িটি নিয়ে কী করবেন, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। বলেছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পরই পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।
তবে একটা বিষয় নিশ্চিত, তিনি লটারির টিকেট কেনা ছাড়বেন না।
“আমি বিগ টিকেটের ড্রতে নিয়মিতই অংশ নেবো, কেনো করবো না? এটা আমার জন্য, আমার পরিবারের জন্য এত খুশি এনে দিয়েছে যে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি অন্যদেরও এভাবে ভাগ্য পরীক্ষায় উৎসাহিত করে যাবো,” খালিজ টাইমসকে এমনটাই বলেছেন পারভেজ।